বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চাঁদপুরে ৮ উপজলোয় রাষ্ট্রায়ত্ত ও জেলা-উপজেলার সব বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ২০২৪-’২৫ র্অথবছরে ৩৫৪ কোটি টাকা কৃষিঋণ ও দারিদ্রবিমোচন খাতে বিতরণের জন্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বরাদ্দ ছিল। এর মধ্যে ঐ অর্থবছরের জুন পর্যন্ত জেলা-উপজেলার সব সরকারি- বেসরকারি ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করেছে-৩৩৯ কোটি টাকা এবং আদায় করে ২৮৬ কোটি টাকা ।
সোনালী,অগ্রণী,জনতা ও বাংলাদেশ কৃষি,রূপালী ও বেসিক ব্যাংক সহ জেলার সব ব্যাংকে ঐ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে কৃষি কমিটির প্রণীত প্রতিবেদনের এক সূত্রে ২৭ জুলাই এ তথ্য জানা গেছে ।
প্রাপ্ত তথ্য মতে-সোনালী,অগ্রণী,জনতা ও বাংলাদেশ কৃষি,রূপালী ও বেসিক ব্যাংকে ২৪৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং জেলার সব উপজেলায় অবস্থিত ২২টি বেসরকরি ব্যাংকে ১০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে কৃষি ও দারিদ্রবিমোচন খাতে বিতরণকৃত গ্রাহকদের কাছ বিতরণ করেছে ২৭৯ কোটি টাকা ৩৫ লাখ টাকা এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলো আদায় করেছে ৬০ কোটি টাকা। সোনালী,অগ্রণী,জনতা ও বাংলাদেশ কৃষি,রূপালী ও বেসিক ব্যাংকে কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক র্কাযালয়ের সূত্র মতে, সোনালী ব্যাংকের ২০টি শাখা আদায় করেছে ১৫ কোটি ৯ লাখ টাকা, অগ্রণী ব্যাংকরে ২০ টি শাখায় ১৬ কোটি ৬৮ লাখ, জনতা ব্যাংকরে ১৫ টি শাখায় ৭ কোটি ২৩লাখ টাকা, বাংলাদশে কৃষি ব্যাংকরে ২৮টি শাখা ৯১ কোটি ৯৭ লাখ, রূপালী ব্যাংকের ১৩ শাখায় ৪ কোটি ৮ লাখ এবং বেসিক ব্যাংকে ২২ লাখ টাকা চলতি অর্থবছরে কৃষি ও দারিদ্রবিমোচন খাত থেকে আদায় করা হয়েছে। অপরদিকে জেলার বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ৪০ কোটি ৮৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা আদায় করেছে ।
সংশ্লিষ্ঠ ব্যাংকগুলো ফসল উৎপাদন, মৎস্য চাষ,পশুপালনসহ বিভিন্ন খাতে ওই বরাদ্দকৃত ঋণ বিতরণের নির্দেশ রয়েছে। জেলার বেসরকারি ব্যাংকগুলোও অনুরূপ খাতে ঋণ বিতরণ করবে।
এদিকে ওই সব ব্যাংকরে শাখাগুলোতে ২০২৪-’২৫ র্অথবছরে বকেয়া হিসেবে জেলার কৃষি,দারিদ্রবিমোচন ও অন্যান্য খাতে পড়ে আছে ৫২৪ কোটি টাকা । ব্যাংকগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ ১৫৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
কৃষি ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,‘একজন কৃষকের ঋণ পাওয়ার প্রথম শর্তহচ্ছে তার অবশ্যই চাষাবাদ উপযোগী জমি থাকতে হবে। তবে বর্গ চাষীরা জমির মালিকগণের অনুমতিপত্রসহ আবেদন করলে ঋণ পাবেন। ’
অপর একপ্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘ মৎস্য,গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি প্রতিপালনে সর্ব্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন ।’
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক চাঁদপুরের মূখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন,‘কৃষি ব্যাংক একটি বিশেষায়িত ব্যাংক । তাই কৃষি উৎপাদন,সেচযন্ত্র ক্রয়,পাওয়ারটিলার ক্রয়,গরু মোটাতাজাকরণ,পল্ট্রী ফার্ম,গাভীপালন,মৎস্যচাষ,শাক-সবজি উৎপাদন ও রবিফসল করতে কৃষকদের সহজ শর্তে কৃষকদের ঋণ দিয়ে থাকেন। সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে বর্গাচাষীদেরও কৃষিঋণ প্রদান করে থাকে। ’
অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা বলেন,‘বিভিন্ন শ্রেণিভিত্তিক ঋণ আদায়ে অগ্রণী ব্যাংক গ্রাহকদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তগণ যেমন ঋণ আদায় করছে তেমনি তাৎক্ষণিক ঋণ প্রদান করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন,‘চলতি অর্থবছরে ঋণ প্রদানের বেলায় জমি আছে ও নিজে চাষাবাদ করে এমন কৃষকদের আমাদের অগ্রণী ব্যাংকের মাঠ সহকারীগণ তাৎক্ষণিকভাবে ঋণ দেবার প্রস্তাব করে থাকেন । অগ্রণী ব্যাংক ৯% সরল সুদে কৃষি উৎপাদন খাতে ঋণ বিতরণ করে থাকে।’
একুশে সংবাদ/চাঁ.প্র/এ.জে