সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটী ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠলেও এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাগবাটী ইউনিয়নের উন্নয়ন প্রকল্প, সরকারি সহায়তা কর্মসূচি এবং পরিষদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে। ইউপি সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় না করে একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) থেকে অর্থ দাবি এবং গরিব ও অসহায়দের বঞ্চিত করে দলীয় নেতাকর্মীদের সুবিধা প্রদানসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
একাধিক অভিযোগে বলা হয়, সরকারের ঈদ উপহারস্বরূপ দেওয়া ভিজিএফ কার্ড প্রকৃত সুবিধাভোগীদের না দিয়ে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে দলীয় লোকজনের মধ্যে বিতরণ করা হয়। স্থানীয় এক বিএনপি নেতা ডেভিডকে একাধিক কার্ড দেওয়ার প্রমাণ মেলে, যা প্রশাসক নিজেও স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় পরিষদের ভেতরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এবং প্রকৃত কার্ডপ্রাপ্তরা চাল না পেয়ে বঞ্চিত হন।
এছাড়া, কাবিখা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পশ্চিম গাড়াদহ পাকা রাস্তা হতে আকবরের বাড়ি পর্যন্ত ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার প্রকল্পে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রশাসক সোহেল রানার বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন তিনি।
ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, “সোহেল রানা ভালো মানুষ, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমি সরল মনে বিষয়টি বলেছি, এখন এটা প্রকাশ হয়ে গেছে। যদি জানতাম, তাহলে আর কিছু বলতাম না।”
অন্যদিকে প্রশাসক মোঃ সোহেল রানা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমাকে সরানোর জন্য এসব ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যদি ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার কাজ থেকে আমি ৫০ হাজার টাকা নিই, তাহলে কাজ চলবে কীভাবে?”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মনোয়ার হোসেন জানান, “বাগবাটী ইউনিয়ন পরিষদের বিষয়ে আমি অবগত। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/সি.প্র/এ.জে