চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় এক পিতার নির্মম অপরাধে স্তম্ভিত গোটা এলাকা। নিজের ১১ বছর বয়সী স্কুলপড়ুয়া কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. মহিউদ্দিন (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে কর্ণফুলীর চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের সৈন্যেরটেক এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ ও আদালতের দাখিলকৃত অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, গত ২৫ মে সকাল ১১টার দিকে কর্ণফুলী থানার অধীন চরলক্ষ্যার কালা মিয়া সারাং বাড়িতে এই নৃশংস ঘটনা ঘটে। ওই দিন মা শাবনুর আক্তার (৪১) পারিবারিক ঋণের সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করতে প্রতিবেশীর বাড়ি যান। এই সুযোগে মহিউদ্দিন চকলেট ও চিপস হাতে নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
ঘটনার পর মা শাবনুর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর ৭ জুলাই তিনি চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬-এ সরাসরি অভিযোগ দায়ের করেন। বিচারক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ভূইয়ার আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর ৯(১) ধারায় মামলাটি গৃহীত হয়। আদালতের নির্দেশে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। জানা গেছে, মহিউদ্দিন ২০০৩ সালে শাবনুর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির তিন কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। তবে ৭ বছর আগে তিনি পারভীন আক্তার নামে আরেক নারীকে বিয়ে করে আলাদা সংসার শুরু করেন। আশঙ্কাজনক তথ্য হলো, ২ বছর আগে তিনি তার দ্বিতীয় কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসী মহিউদ্দিনকে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি ও নিয়মিত স্ত্রী ও সন্তানদের উপর শারীরিক নির্যাতন চালাতেন বলে জানান। কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, “আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/চ.প্র/এ.জে