জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজবাড়ীতে পথসভা আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৩টায় জেলা শহরের রেলগেট শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল থেকেই রেলগেট এলাকায় মঞ্চ নির্মাণসহ আয়োজন ঘিরে ব্যস্ততা দেখা গেছে আয়োজকদের মাঝে। ইতিমধ্যে মঞ্চ প্রস্তুতসহ সবধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
পথসভা ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর টহল এবং অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে বুধবার দুপুরে রাজবাড়ীর ইংলিশ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত এনসিপি জেলা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন দলটির জেলা নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এনসিপির সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি জানান, “বিপ্লবী ছাত্রজনতার রক্তস্নাত চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এনসিপি মাসব্যাপী ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে রাজবাড়ীতে বৃহৎ জনসমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। বিকেল ৩টায় রেলগেট শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পথসভা অনুষ্ঠিত হবে।”
পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং প্রধান বক্তা থাকবেন সদস্য সচিব আখতার হোসেন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসির উদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা ও ডা. তাজনুভা জাবীন, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, রাজবাড়ী জেলার সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহসহ কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ১২ হাজার মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। মাঠপর্যায়ে কোনো হুমকি নেই, তবে সামাজিক মাধ্যমে কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করছি। সবাইকে আহ্বান জানাই, আসুন জুলাই যোদ্ধাদের সম্মান জানাই এবং গণআন্দোলনে অংশ নিই।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—অ্যাডভোকেট নাজমুল হক, আল আজম, ইঞ্জিনিয়ার গাজী জাহিদ হাসান, মো. সাইদুর জামান সাকিব, মীর মাহমুদ সুজন ও মো. রাশেদুল ইসলাম রাসেল প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/রা.প্র/এ.জে