AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কেশবপুরে তিন দিনের বিরতির পর আবারও লাগাতার বৃষ্টিতে প্লাবিত শহর ও গ্রামাঞ্চল


Ekushey Sangbad
মো. জাকির হোসেন, কেশবপুর, যশোর
১০:৪৪ পিএম, ১৫ জুলাই, ২০২৫

কেশবপুরে তিন দিনের বিরতির পর আবারও লাগাতার বৃষ্টিতে প্লাবিত শহর ও গ্রামাঞ্চল

যশোরের কেশবপুরে তিন দিনের বিরতির পর ফের শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে শহর ও আশপাশের বহু গ্রাম। গত ১৩, ১৪ ও ১৫ জুলাই টানা বর্ষণে কেশবপুর পৌর এলাকা ও ১১টি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামের অসংখ্য বাড়িঘর, বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সড়ক তলিয়ে গেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

পানিতে তলিয়ে যাওয়া এলাকা‌গুলোর মধ্যে রয়েছে—মাছহাটা, তরকারির হাট, ধানহাটা, মধু সড়ক, আলতাপোল, সুজাপুর, বালিয়াডাঙ্গা, ব্রক্ষকাটি, সাহাপাড়া, ভবানিপুর, হাবাসপুর ও মধ্যকুল। এসব এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে, অনেক পরিবার বাড়িঘরে পানি উঠে চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে হরিহর নদীতে কচুরিপানা জমে থাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছিল। ফলে অতিবৃষ্টিতে পানি সরে না গিয়ে দ্রুত প্লাবনের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি আগেই জানানো হলেও, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

তবে ১৩ জুলাই থেকে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা হরিহর নদী থেকে কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু করেন। দুই দিন পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু কর্মী দিয়ে সহায়তা করা হলেও তা যথেষ্ট ছিল না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন বলেন, “বৃষ্টিতে যেসব পরিবারের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে গেছে এবং থাকার জায়গা নেই, তারা চাইলে শহরের শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মধু শিক্ষা নিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিতে পারবেন।”

তবে কচুরিপানার লেজ/শিকড় মনিরামপুর থেকে কেটে দেওয়ার যে প্রস্তাব উঠেছিল, সে বিষয়ে এখনো কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

স্থানীয়রা মনে করেন, হরিহর নদী খনন এবং দীর্ঘমেয়াদি পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়া প্রতিবছরের এই জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব নয়। অবিলম্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগ কামনা করছেন তারা।

 

একুশে সংবাদ/য.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!