AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কেশবপুরে স্বেচ্ছাসেবীদের ব্যতিক্রমী উদ্যোগে হরিহর নদী থেকে কচুরিপানা অপসারণ


Ekushey Sangbad
মো. জাকির হোসেন, কেশবপুর, যশোর
১০:৪২ পিএম, ১৫ জুলাই, ২০২৫

কেশবপুরে স্বেচ্ছাসেবীদের ব্যতিক্রমী উদ্যোগে হরিহর নদী থেকে কচুরিপানা অপসারণ

যশোরের কেশবপুরে স্থানীয় যুবসমাজ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগে হরিহর নদী পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ১৩ জুলাই থেকে টানা তিন দিন ধরে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই স্বেচ্ছাশ্রমে নদীর মধ্যপ্রবাহ থেকে কচুরিপানা সরানোর কাজ করছেন তারা।

নদীতে দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা কচুরিপানা পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে জলাবদ্ধতা, প্লাবন ও জনদুর্ভোগ তৈরি করছিল। এসব বিবেচনায় সমাজের সচেতন কিছু তরুণ স্বপ্রণোদিত হয়ে হাতে তুলে নিয়েছেন নদী পরিষ্কারের কাজ।

এ উদ্যোগে নেতৃত্ব দেন ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন’-এর ছাত্র প্রতিনিধি মিরাজ বিশ্বাস। তার সঙ্গে ছিলেন ‘হৃদয় ব্লাড ব্যাংক’-এর অ্যাডমিন বাবু বিশ্বাস, ‘প্রিয় কেশবপুর’ পেজের অ্যাডমিন এনামুল কবির সবুজ, আশরাফুল ইসলাম, নয়ন, আলীম, ইকরামুল, সারাফাত, মোহাম্মদ ও সাদসহ প্রায় দুই ডজন স্বেচ্ছাসেবক। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সাংবাদিক ও বর্ণমালা একাত্তরের পরিচালক শফিকুল ইসলাম সুইট।

স্থানীয়দের মতে, হরিহর নদী কেশবপুর শহর ছাড়াও আশপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রধান পানি নিষ্কাশন পথ। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে কচুরিপানায় ভরাট হয়ে পড়ায় বর্ষায় নদীর পানি উপচে পড়ে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি প্লাবিত হচ্ছিল।

স্বেচ্ছাসেবকরা বলেন, “সরকারি সহযোগিতা না থাকলেও আমরা বসে থাকতে পারি না। আমাদের এলাকা, আমাদের নদী—সংকট সমাধানে আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।”

তারা আরও বলেন, “শুধু কচুরিপানা সরালেই হবে না। হরিহর নদীর স্থায়ী সমাধান চাইলে পূর্ণাঙ্গ খনন জরুরি।” এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

স্বেচ্ছাসেবীদের এ মানবিক ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তবে তারা মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য সরকারি ও স্থানীয় প্রশাসনের সম্মিলিত পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।

 

একুশে সংবাদ/য.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!