চট্টগ্রাম শহরের বাসাবাড়ি থেকে ডোর-টু-ডোর বর্জ্য সংগ্রহের দায়িত্ব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে দিচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। ইতোমধ্যে নগরের ২৪টি ওয়ার্ডে ২৪টি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই বিএনপি এবং তাদের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মালিকানাধীন বলে জানা গেছে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকের তেমন অভিজ্ঞতা নেই, এমনকি নেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হলে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) চসিকের পক্ষ থেকে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “নগরবাসীর কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শৃঙ্খলার আওতায় আনতেই নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ডোর-টু-ডোর সেবার জন্য বাসাবাড়ি থেকে নির্ধারিত হারে ফি নেওয়া যাবে। এর বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি জানান, নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে ময়লা সংগ্রহের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে ১৯২টি প্রতিষ্ঠান শিডিউল সংগ্রহ করে। যাচাই-বাছাই শেষে অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আরও বলেন, “যেসব ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে সতর্কতা এবং প্রয়োজনে চুক্তি বাতিল পর্যন্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য—নগরবাসীকে একটি সহনীয়, সুশৃঙ্খল ও নিরবচ্ছিন্ন পরিচ্ছন্নতা সেবা নিশ্চিত করা।”
একুশে সংবাদ/চ.প্র/এ.জে