মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা পর্যায়ের সকল বিভাগীয় অফিস প্রধান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, সাংবাদিক ও সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নেছার উদ্দিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত বলেন, শিক্ষার্থীদের রোল মডেল হচ্ছেন তাদের শিক্ষক। একজন শিক্ষক শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নন, তিনি সমাজেরও শিক্ষক। একটি শিশু যখন বিপথগামী হয়, তখন তাকে শুধরে দেওয়ার দায়িত্ব শুধু অভিভাবকের নয়, শিক্ষকেরও। শিক্ষার্থীদের নিজেদের সন্তানের মতো করে গড়ে তুলতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. মাহমুদুর রহমান খন্দকার, সহকারী কমিশনার (মুন্সীগঞ্জ) মো. খালেদ সাইফুল্লাহ, সহকারী কমিশনার (ভূমি, লৌহজং) মো. আব্দুল্লাহ আল ইমরান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফাহমিদা লস্কর, সরকারি লৌহজং কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. সহিদুর রহমান শিকদার, উপজেলা প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোশারফ হোসেন, হলদিয়া সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম, শরীফাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বশিরুল ইসলাম এবং বিক্রমপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মাসুদ খান।
সভা সঞ্চালনা করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চন্দ্র পোদ্দার।
সভা শেষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ১৯ জন নারী ও পুরুষকে ৬ লাখ টাকা সুদমুক্ত ঋণ প্রদান, প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ, উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে ১২ জনের মধ্যে ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকার যুব উন্নয়ন ঋণ বিতরণ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে ১০ জন নারী উদ্যোক্তার মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ, ৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ এবং লৌহজংয়ের ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ করে ছাত্রীদের জন্য ‘হারস্পেস’ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। প্রাথমিকভাবে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এই কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সভায় উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/মু.প্র/এ.জে