টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি, উন্নয়ন প্রকল্পের ধীরগতি এবং দীর্ঘদিন ধরে সড়কের সংস্কার না করায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল থেকে আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল বিশ্বরোড হয়ে বিজয়নগরের রামপুর এলাকা পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটারজুড়ে এ যানজট দেখা দেয়। এতে দূরদূরান্তের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা, গাড়িচালক ও হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহাসড়কের ফোরলেন নির্মাণকাজ চলমান থাকায় সড়ক সরু হয়ে গেছে। একই সঙ্গে আশুগঞ্জ ও বিশ্বরোড মোড় এলাকায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, যেগুলোর কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। গর্তে আটকে গিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ছে, ফলে যানজট আরও দীর্ঘ হচ্ছে। এসব স্থানে গাড়ির গতি ঘণ্টায় ১ থেকে ৫ কিলোমিটারে নেমে আসছে।
এছাড়া আশুগঞ্জ থেকে ঢাকামুখী লেনে ভৈরব সেতু পর্যন্তও যানজট ছড়িয়ে পড়েছে। সেতুর ওপর দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে অসংখ্য বাস, ট্রাক ও প্রাইভেটকার। অনেকে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত যানবাহনের ভেতরেই আটকে ছিলেন।
ঢাকা থেকে আসা ট্যুর গাইড হাসিবুর রহমান জানান, তিনি ট্যুরিস্টদের একটি দল নিয়ে সিলেটে যাচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে আশুগঞ্জ পৌঁছে যানজটে পড়েন তারা। পরে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে এসে পৌঁছান। এ সময়সীমায় দীর্ঘসময় আটকে থেকে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে সরাইল খাঁটিহাটা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুনুর রহমান বলেন, “আশুগঞ্জ ও বিশ্বরোড মোড়ের চারপাশে তিন ফুটেরও বেশি গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে গাড়িগুলোকে ৭০ কিলোমিটার বেগ থেকে কমিয়ে ৫ কিলোমিটার গতিতে নামিয়ে আনতে হচ্ছে। একটি ট্রাককে মোড় পার হতে সময় লাগছে প্রায় ২০ মিনিট। তারপরও আমরা যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
একুশে সংবাদ/ব্রা.প্র/এ.জে