দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১২৩৫ ফিট গভীরে কাজ করার সময় দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন চীনা কর্মকর্তা ওয়াং জিয়ান গুয়ো (৫৫)। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ১৩০৫ নম্বর ফেইজে হাইড্রোলিক যন্ত্র সরানোর সময় তিনি স্টিল রশির সাথে আটকে গুরুতর আহত হন। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে রাত সাড়ে ৭টায় মৃত ঘোষণা করেন।
ওয়াং জিয়ান গুয়ো বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি-সিএমসি কনসোর্টিয়ামের অধীনে কাজ করতেন। ঘটনায় পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা (নং-৩১) রুজু হয়েছে।
সেই দিন দুপুরে কয়লা খনির পূর্ব পাশে পরিত্যক্ত ডেটোনেটর বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয় চৌহাটি গ্রামের মাদ্রাসা ছাত্র ইলিয়াস হোসেন (১০)। বিস্ফোরণে তার ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বর্তমানে সে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ইলিয়াসের বাবা আশরাফুল ইসলাম জানান, ইলিয়াস খনির পাশে খেলা করার সময় ওই বিস্ফোরক কুড়িয়ে এনে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং খেলার সময় সেটি বিস্ফোরিত হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, খনির ডাম্পিং এরিয়ায় মাঝে মাঝে এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস পড়ে থাকে যা সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছে।
ডেটোনেটর বিস্ফোরণের ঘটনায় খনি কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। খনির উপ-মহাব্যবস্থাপক (মাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) মো. রাজিউন নবীকে প্রধান করে গঠিত কমিটিতে রয়েছেন ব্যবস্থাপক আশরাফুল আলম, সৈয়দ ইমাম হাসান ও জাহিদুল ইসলাম। কমিটিকে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) খান মো. জাফর সাদিক বলেন, “এই ঘটনাগুলো অত্যন্ত দুঃখজনক। আহত শিশুর চিকিৎসা ও সহযোগিতায় খনি কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সহায়তা করবে।”
একুশে সংবাদ/দি.প্র/এ.জে