ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক ইব্রাহিম বাবুর মরদেহ এক সপ্তাহ পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আইসিপির মেইন পিলার ৭৬ নম্বরের কাছে শূন্যরেখায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও বিএসএফ-এর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ভারতীয় পুলিশ নিহত বাবুর মরদেহ বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
বাংলাদেশের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মাসুদ হায়দার, সহকারী পরিচালক মো. হায়দার আলী, দর্শনা বিওপির কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. এনায়েত হোসেন, দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মহিবুল্লাহ, দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহীদ তিতুমীর।
ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ৩২ বিএসএফ-এর অধিনায়ক সুজিত কুমার, হালদারপাড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এসি তপস্যর কুমার ও কৃষ্ণগঞ্জ থানার ওসি সৌগত রায়।
পতাকা বৈঠক শেষে নিহত বাবুর মরদেহ দামুড়হুদা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে তা নিহতের ভগ্নীপতি মো. এনামুল হক গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁঝাডাঙ্গা সীমান্তের গালার মাঠ এলাকায় গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে সীমান্তের ৭৯ নম্বর মেইন পিলার অতিক্রম করে ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন ইব্রাহিম বাবুসহ ৪–৫ জন। এসময় হালদারপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ২ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বাবু।
নিহত ইব্রাহিম বাবু (৩২) ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। দীর্ঘ সময় লাশ ভারতে থাকার পর অবশেষে এক সপ্তাহ পর তা বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হলো।
একুশে সংবাদ/চু.প্র/এ.জে