AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ০৭ জুলাই, ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সিরাজগঞ্জে কবিরাজি চিকিৎসার নামে প্রতারণা


Ekushey Sangbad
মো. দিল, সিরাজগঞ্জ
০৩:১৩ পিএম, ৭ জুলাই, ২০২৫

সিরাজগঞ্জে কবিরাজি চিকিৎসার নামে প্রতারণা

চটকদার প্রচারণা আর "সব মুশকিলের সমাধান"—এমন নানা লোভনীয় কথার ফাঁদে ফেলে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় কবিরাজি চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছেন এক ভুয়া নারী কবিরাজ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সহজ-সরল মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। এতে আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। ভুক্তভোগীরা দাবি করছেন, এসব ভুয়া চিকিৎসার বিরুদ্ধে প্রশাসনের জরুরি ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

জানা যায়, উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের বড় পাকুরিয়া (ময়নাকুল) গ্রামের রাশিদা খাতুন নামের এক নারী প্রায় এক দশক ধরে কবিরাজির নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। সন্তানহীন নারীদের সন্তান লাভ, গোপন রোগ নিরাময়, দাম্পত্য কলহ, বিয়ে না হওয়া, প্রেমে ব্যর্থতা ইত্যাদি ‘সমাধানের’ আশ্বাস দিয়ে তিনি ঝাড়ফুঁক, পানি পড়া, তাবিজ-কবজের মাধ্যমে গ্রামীণ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাশিদা খাতুন তার বাবার বাড়িতে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বসবাস করছেন এবং সেখানেই কবিরাজির আসর বসিয়ে রেখেছেন। তার আপন ভাই এই কাজে তাকে সহায়তা করেন। সিরাজগঞ্জ জেলা ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকেও নিয়মিত রোগী বা আগ্রহী মানুষজন আসছেন।

স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে জানান, “রাশিদা খাতুন কবিরাজির নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। ঝাড়ফুঁক বা পানি পড়া দিয়ে যেসব সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন, তা কখনোই ফলপ্রসূ হয় না। মানুষ ধোঁকায় পড়ে টাকা খরচ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, “আমরা কেউই নিশ্চিত না, উনি আসলে চিকিৎসার কিছু জানেন কিনা। তবে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ও লোভ দেখিয়ে ঝাড়ফুঁক ও পানি পড়ার মাধ্যমে টাকা আদায় করেই তার জীবিকা চলছে। এখন তো তিনি এলাকায় একজন প্রতিষ্ঠিত কবিরাজ হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছেন, আর সেই পরিচয়ের সুযোগ নিয়ে মানুষকে ঠকাচ্ছেন।”

প্রতারণার শিকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, “আমরা তার কথায় বিশ্বাস করে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলাম। কেউ বলেছিল পানি পড়া নিলে সন্তান হবে, কেউ বলেছিল দাম্পত্য সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু কিছুই হয়নি। বরং টাকা খরচ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।”

তারা আরও বলেন, “এভাবে আর কতদিন চলবে? আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই—এই ভুয়া কবিরাজের বিরুদ্ধে যেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”

ভুয়া কবিরাজির অভিযোগ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে রাশিদা খাতুন বলেন, “মানুষ বিশ্বাস করে আসে বলেই আমি ঝাড়ফুঁক ও পানি পড়া দিই। অনেকে আল্লাহর রহমতে উপকারও পায়। আমি রোগীপ্রতি টাকা নিই, এটা তো আমার পেশা।”

এ বিষয়ে কামারখন্দ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, “এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে এ সংক্রান্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

একুশে সংবাদ/সি.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!