মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি ইউনিয়নের চামারখাই গ্রামের ভিক্ষুক মৃত আমেলা বেগমের রেখে যাওয়া ৮০ হাজার টাকার শেষ আমানত আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় চামারখাই কৃষি সমিতির প্রধান মোঃ আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, আমেলা বেগম মৃত্যুর আগে তার নাতি মোঃ হাবিবুর রহমানের নামে ৮০ হাজার টাকা কৃষি সমিতিতে জমা রাখেন। তিনি গ্রামবাসীর কাছে তার শেষ ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেন— মৃত্যুর পর যেন এই টাকায় মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। কিন্তু মৃত্যুর পর নাতি হাবিবুর রহমান বারবার টাকা চাইলেও সমিতির প্রধান আনোয়ার হোসেন নানা অজুহাতে তাকে ঘোরাতে থাকেন।
ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান বলেন, "আমার নানী জীবিত থাকতেই আনোয়ারদের সমিতিতে আমার নামে ৮০ হাজার টাকা রেখেছিলেন। এখন সেই টাকা চাইলে তারা নানা অজুহাতে ফিরিয়ে দিচ্ছে না।"
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুধু আমেলা বেগমের আমানত নয়, ‘চামারখাই কৃষি সমিতি’র নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আনোয়ার হোসেন ও সমিতির অন্যান্য সদস্যরা। এর আগেও এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ হয়েছে, কিন্তু প্রতিকার মেলেনি।
চলমান অবস্থা থেকে পরিত্রাণের আশায় ২৭ মার্চ ২০২৫ তারিখে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন,
"আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা আমি জানি। বিষয়টি নিয়ে আমি আদালতে গিয়ে ব্যাখ্যা দেব।"
সাটুরিয়া থানার এসআই মোঃ সুলতান বলেন, "পুলিশ সুপার বরাবর দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলি এবং সমাধানের জন্য তিন মাস সময় দেই। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও টাকা পরিশোধ করা হয়নি। এখন নতুন অভিযোগ ছাড়া পুলিশের আর কিছু করার নেই।"
এলাকাবাসীর দাবি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকর আইনি ব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ মানুষের অর্থ ফেরত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হোক।
একুশে সংবাদ/মা.প্র/এ.জে