AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

জুয়ার টাকার ভাগাভাগি নিয়ে যৌনপল্লীর ব্যবসায়ী নজরুল খুন, গ্রেপ্তার-২



জুয়ার টাকার ভাগাভাগি নিয়ে যৌনপল্লীর ব্যবসায়ী নজরুল খুন, গ্রেপ্তার-২

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে পান-সিগারেট ব্যবসায়ী নজরুল বেপারী (৪৫) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। জুয়ার টাকার ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শরীফ আল রাজীব, পিপিএম-সেবা।

তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুই আসামির মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে ১৪টি এবং অন্যজনের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।’

নিহত নজরুল বেপারী গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং যৌনপল্লীতে পান ও সিগারেটের দোকান চালাতেন। গত ২৩ জুন রাত ১২টার দিকে দোকানের চাবি নিয়ে বের হন নজরুল, এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন ভোরে উত্তর দৌলতদিয়া ইমান খারপাড়া এলাকায় রেলওয়ে সীমানার পাশে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন রনি মিয়া ওরফে আরমান হোসেন (২২) এবং মো. ইসমাইল মোল্লা ওরফে ঝড়ু (২০)। তারা উভয়েই দৌলতদিয়ার বাসিন্দা। গোয়ালন্দঘাট থানা পুলিশের দুটি পৃথক অভিযানে গাজীপুরের শ্রীপুর ও ঢাকার সাভারের রেডিও কলোনি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত একটি ধারালো দা, একটি স্টিলের চাকু এবং দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে রেললাইনের পাশের ডোবার পানির নিচ থেকে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব বলেন, ‘জুয়ার টাকার ভাগাভাগি নিয়ে নজরুলের সাথে আসামিদের পুরনো বিরোধ ছিল। সেই বিরোধ থেকেই পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।’ তিনি জানান, নিহত নজরুলের বিরুদ্ধেও জুয়াসহ দুটি মামলা রয়েছে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, এ ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এই তদন্ত ও অভিযান পরিচালনা করেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম-এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল, গোয়ালন্দঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক উত্তম কুমার ঘোষ।

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কেউই ছাড় পাবে না। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

একুশে সংবাদ/রা.প্র/এ.জে

Link copied!