AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সার্ভেয়ারকে দেওয়া ঘুসের টাকা ফেরৎ চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন!



সার্ভেয়ারকে দেওয়া  ঘুসের টাকা ফেরৎ চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন!

সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. জাকিরুল ইসলামকে দেওয়া উৎকোচের টাকা ফেরৎ চেয়ে ইউএনও বরাবর আবেদন করেছেন একজন ভূক্তভোগী। এমন আবেদনের কপি সামাজিক মাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে।

উপজেলার করশালিকা গ্রামের আব্দুল হাই সরকারের ছেলে মো. গোলাম হোসেন গত ২৯ এপ্রিল ঘুসের টাকা ফেরৎ চেয়ে আবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান অভিযোগটি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ২ মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেননি তিনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার করশালিকা এবং চরধুনাইল গ্রামের সর্বসাধারণের নিজ অর্থে রাস্তা নির্মাণের জন্য করতোয়া নদী খননের বালির প্রয়োজনে শাহজাদপুর ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার জাকিরুল ইসলামের কাছে গ্রামবাসীর পক্ষে শরণাপন্ন হন মো. গোলাম হোসেন। একপর্যায়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে গ্রামবাসীর পক্ষে প্রতিবেদন দিতে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন সার্ভেয়ার মো. জাকিরুল ইসলাম। বিকল্প কোনো উপায় না থাকায় গ্রামবাসীর রাস্তার প্রয়োজনে প্রতিবেদন পক্ষে নেওয়ার জন্য মো. গোলাম হোসেন ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ প্রদান করেন। কিন্তু উৎকোচ দিয়েও ভূমি অফিস থেকে গ্রামবাসীর পক্ষে প্রতিবেদন না দেওয়ায় উৎকোচের টাকা ফেরত চেয়ে গত ২৯ এপ্রিল শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন ভুক্তভোগী মো. গোলাম হোসেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গোলাম হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, তার এলাকায় নদী খননের বালি নিয়ে চলছে হরিলুট। কেউ কেউ হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। অথচ জনগণের নিজস্ব টাকায় নিজেদের চলাচলের রাস্তা তৈরি করার জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুস দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। এখন ঘুসের টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। সেই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য ইউএনওর কাছে আবেদন করলেও ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসিল্যাণ্ডকে। যে অফিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই অফিসকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই ভূক্তভোগী।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত সার্ভেয়ার মো. জাকিরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কেউ যদি আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দেয় তাহলে আমি কি করতে পারি। আল্লাহর নামে স্বাক্ষী রেখে বলছি একটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে আমার বিরুদ্ধে।

এদিকে ঘটনা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মুশফিকুর রহমান জানান, ঘুসের টাকা ফেরতের অভিযোগটি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। দুই একদিনে মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

 

একুশে সংবাদ/সি.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!