মনোনয়নে বিএনপি থেকে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন চায় সাবেক ছাত্রনেতা, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি কাজী খায়রুজ্জামান শীপন। বিগত ১৭ বছরে যারা দলের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের জেল, জুলুম, হত্যা, গুমের শিকার হয়েছেন তাদের সামনের সারিতে রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
বাগেরহাট-৪ আসন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী কাজী খায়রুজ্জামান শিপন বলেন, তৃণমূল থেকে উঠে আসা জাতীয়তাবাদী আদর্শের একজন অগ্র সৈনিক হিসেবে সক্রিয় বিএনপি একজন কর্মী হিসেবে হিসেবে গত ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রামে সম্মুখ সারির একজন যোদ্ধা হিসেবে কাজ করে আসছি। আমার রয়েছে রাজনৈতিক এক বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। একটি মহল আমার জনপ্রিয়তা দেখে আমাকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের জাল ফেলেছে।
মোরেলগঞ্জ-শরণখোলায় দুই যুগের বেশি সময় বিএনপির হয়ে কাজ করছি। এখানকার বিএনপির রাজনীতি শক্তিশালী করতে দলের নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি।
ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলায় নেতৃত্ব দিয়ে আসা দলের দুঃসময়ের হাল ধরা ত্যাগী নেতা বাগেরহাট-৪ আসন থেকে ২০১৮ সালে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত কাজী খায়রুজ্জামান শিপনকে নিয়ে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করতে, দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে পেছনে ফেলতে, তার ১৭ বছরের দুঃসময়ের বিএনপির কর্মকাণ্ডকে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছেন। এ নিয়ে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলায় বিএনপির ত্যাগী নেতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
চলমান ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানিয়ে অনেক নেতাকর্মী সেচ্ছায় পদত্যাগের ঘোষণাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা কৌশলে প্রতিবাদ জানাচ্ছে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা বিএনপি। মোরেলগঞ্জের ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীর কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত সকল আন্দোলন সংগ্রামে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলায় একমাত্র অভিভাবক হিসেবে ছিলেন বাগেরহাট জেলা বিএনপি নেতা, স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে ওয়ানম্যান খ্যাত কাজী খায়রুজ্জামান শীপন। যিনি তার সাংগঠনিক দক্ষতা, নেতাকর্মীদের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা দিয়ে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলার সাহসী নেতৃত্বে ১৭টি বছর বিএনপিকে শক্তিশালী করে রেখেছিলেন বলে দাবি তাদের ।
মোরেলগঞ্জের তৃণমূল পর্যায়ের নবগঠিত ইউনিয়ন কমটির নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন, মোরেলগঞ্জ-শরণখোলায় সুসময়ে বহু অতিথি নেতার বিএনপির রাজনীতিতে দেখা গেলেও দুঃসময়ে কাউকে দেখতে পাই নি। দলের যে কোনো বিপর্যয়ের সময় মোরেলগঞ্জের রাজপথ থেকে শুরু করে ঢাকার রাজপথে দলের সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজ্জামান শিপন, পাশাপাশি বিগত বিগত সরকারের সময়ে হামলা, মামলায় আহত নেতাকর্মীদের জামিন করা, হাসপাতালে তাদের পাশে থাকা নেতাকর্মীদের পাশে একমাত্র কাজী শিপনই ছিলেন। বর্তমান চলমান নানা ষড়যন্ত্রের তার দীর্ঘ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা মাত্র।
মোরেলগঞ্জ-শরণখোলার বিএনপিতে একজন পরিছন্ন, সফল ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন জেলা বিএনপির এ নেতা। বিগত সময়ে বিএনপির যে কোনো দলীয় কর্মসূচি আসলে, আন্দোলন সংগ্রামে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ব্যাপকভাবে রাজপথে নেমে পড়তেন বিএনপি নেতা কাজী শিপন এমনটাই বলছেন মোরেলগঞ্জের স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। মামলা খেয়েছেন, দিনের পর দিন আদালতের বারান্দায় নেতাকর্মীদের সাথে জামিন নিতে সময় কেটেছে তার। ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণের আগেই একটি মহল তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল ফেলতে শুরু করেছে।
বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজ্জামান শিপন একজন সফল ব্যবসায়ী, বিএনপি রাজনীতি করার কারণে তার বাড়ি, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে বহুবার হামলা হয়েছে। রাজনীতি ও মোরেলগঞ্জ, শরণখোলার বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে থাকতে গিয়ে অর্থ, ব্যবসা, স্থাপনা সবই ধ্বংস করেছেন, এতকিছুর পরেও তিনি মোরেলগঞ্জ, শরণখোলার বিএনপির নেতাকর্মীদের ছায়ার মতো আগলে রেখেছেন, একবিন্দু নিজেকে আড়াল করেননি।
মোরেলগঞ্জের স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলার বিএনপির দুঃসময়ের হাল ধরা ত্যাগী নেতা কাজী খায়রুজ্জামান শিপন কতটা জনপ্রিয় সেটা সদ্য শেষ হওয়া পবিত্র ঈদুল আজহার পরবর্তী সময়ে নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ পুনর্মিলনী, শুভেচ্ছা বিনিময়ে প্রমাণ মিলছে। এসব দেখে কেউ তাকে চাঁদাবাজ, কেউ দলখবাজ বলে নানাবিধ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মোরেলগঞ্জের তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীর মতে আওয়ামী সরকারের সময়ে মোরেলগঞ্জর অনেক বিএনপি নেতা দলের কঠিন সময়ে নিজেদের বাঁচাতে আড়ালে, আবডালে থেকেছেন। কিন্তু সেই সময়ে মোরেলগঞ্জ, শরণখোলায় একমাত্র কাজী খায়রুজ্জামান শিপন দলের সকল নির্দেশনা মেনে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছেন। রমজানে ইফতার, ঈদের কাপড়, কোরবানির গোশত পর্যন্ত গোপনে নেতাকর্মীদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন কাজী খায়রুজ্জামান শিপন।
মোরেলগঞ্জ-শরণখোলার তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে উচ্চারণ করে বলেন, কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের বিরুদ্ধে দলের ভেতরে ও বাইরে অপশক্তি চক্রের কোনো ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপপ্রচার তৃণমূল বিএনপি বরদাশত করবে না।
কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের বিকল্প নেতা বাগেরহাট-৪ আসনে এখন তৈরি হয়নি বলেও মন্তব্য করেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল হক বাবুল, পৌর বিএনপির সভাপতি শিকদার ফরিদুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল জব্বার মোল্লা, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন। বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর রহমান আলম বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের মতো ত্যাগী নেতাদের দরকার। কেন্দ্রীয় বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বিষয়টি নজরে নিবেন বলেও দাবি তাদের।
একুশে সংবাদ/বা.প্র/এ.জে
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
