আবর্জনায় মুখ বন্ধ হয়ে গেছে কালভার্টের, আর খাল ভরাট করে গড়ে উঠেছে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা। ফলে কোটচাঁদপুরের তিনটি মাঠে প্রায় ৭০০ বিঘা কৃষিজমিতে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গিয়ে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগী চাষিরা ইতোমধ্যে এ অবস্থার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর আবেদন করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ-জীবননগর সড়কের কোটচাঁদপুর আমবাজার সংলগ্ন কালভার্টটি বিভিন্ন ধরনের আবর্জনায় বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি খাল ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা, ফলে পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা।
বড়বামনদহ গ্রামের চাষি আতাউর রহমান (আতা) বলেন, “কালভার্টের মুখে আবর্জনা জমে আছে, আর খালও দখল হয়ে গেছে। ফলে পানি বের হতে পারছে না। বল্বব দাড়ির মাঠ, নারান বিলের মাঠ ও বাজেবামনদহ মাঠে পানি আটকে আছে। এতে প্রায় ৭০০ বিঘা জমিতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমার দুই জায়গায় জমি রয়েছে। আগে পানি ঠিকভাবে নিষ্কাশন হওয়ায় চাষ করতে সমস্যা হতো না। এখন বছর বছর একই সমস্যায় পড়ছি।”
ওই গ্রামের আরেক কৃষক আরফান আলী বলেন, “আগে যখন খালে পানি চলাচল করত, তখন কোনো সমস্যা হতো না। এখন জমিতে পানি জমে থাকায় ইচ্ছেমতো চাষ করা যাচ্ছে না।”
বাজেবামনদহ গ্রামের ইসরাফিল মল্লিক বলেন, “কালভার্টের মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক বছর ধরে আমাদের মাঠে চাষ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা ইউএনও’র কাছে আবেদন করেছি।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, “চাষিদের আবেদন হাতে পাইনি, তবে শুনেছি। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। যতটুকু জানি, কিছু কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তবে সমস্যা সমাধান না হলে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন, “চাষিদের দেওয়া আবেদন পেয়েছি। পানি নিষ্কাশনের সমস্যাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং এর সমাধানে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।”
একুশে সংবাদ/ঝি.প্র/এ.জে