ঝালকাঠির রাজাপুরে একটি জমির তদন্ত চলাকালে ভিডিও ধারণের সময় মানবকন্ঠের রাজাপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও রাজাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক অহিদ সাইফুলের উপর হামলা করেছে স্থানীয় নাসির হাওলাদার ওরফে পাইপ নাসির ও তার সহযোগীরা।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় অহিদ সাইফুল সহ জাহাঙ্গীর হাওলাদার, মাকসুদা আক্তার, ঝুমুর আক্তার ও লাইসা ইসলাম লিয়া নামে আরও চারজন আহত হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ময়না বেগম নামে এক নারীর জমি জোরপূর্বক তার ভাইয়ের ছেলেরা ও একই বাড়ির লোকজন মিলে কয়েকদিন আগে দখল করে। এরপর ঐ নারী আদালতে মামলা করলে আদালত স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম সরেজমিন তদন্ত করতে আসেন এবং উভয় পক্ষকে ডেকে ঘটনার বিবরণ শুনেন। এ সময় রাজাপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক অহিদ সাইফুল ও ঢাকা প্রতিদিনের সাংবাদিক সবুজ হোসেন ঘটনাস্থল থেকে দূরে দাড়িয়ে ভিডিও করছিলেন। অহিদকে ভিডিও করতে নাসিরের সহযোগী সাইদুল প্রথমে দৌড়ে এসে অহিদের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে মোবাইল ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হলে অহিদের ওপর আব্বাস, সিয়াম, ইসা, মুসা, বারেক, হেমায়েত, রমিও ও পলাশসহ দশ বারো জন সহযোগীরা অর্তকীত হামলা চালায়। এ সময় অহিদ সাইফুলকে বাঁচাতে এসে জাহাঙ্গীর হাওলাদার, মাকসুদা আক্তার, ঝুমুর আক্তার ও লাইসা ইসলাম লিয়া নামে আরও চারজন আহত হয়। এ সময় ঢাকা প্রতিদিনের সাংবাদিক সবুজকে আঘাত না করলেও তাকে প্রাণ নাশের হুমকী দেয় নাসির বাহিনী।
আহত লাইসা লিয়া জানায়, অহিদ ভাইকে মারতে দেখে আমি প্রথমে ছুটে আসি। এ সময় হামলাকারীরা আমার গায়ে হাত দেয় ও আমাকে পিটিয়ে আহত করে।
সাংবাদিক অহিদ সাইফুল জানান, ইয়াবা নাসির আমাদের উপর হামলা করতে পারে এই আশংকা করে অনেক দূরে দাড়িয়ে তদন্তের ভিডিও করছিলাম। আমি ভিডিও করেছি এই দোষে আমাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আমি বর্তমানে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয় নাসির হাওলাদার বলেন, “আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা সাজানো হয়েছে। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, অহিদ সাইফুলই সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করছিলো।”
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাঈল হোসেন বলেন, এ বিষয় একটি জিডি হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একুশে সংবাদ/ঝা.প্র/এ.জে