AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ রুটে সিএনজি ভাড়া অতিরিক্ত, চালকদের কাছে যাত্রীরা অসহায়



চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ রুটে সিএনজি ভাড়া অতিরিক্ত, চালকদের কাছে যাত্রীরা অসহায়

সিএনজিচালকরা যেন অঘোষিত চাঁদাবাজে পরিণত হয়েছেন। হাসিনা সরকারের পতনের পর সিএনজিচালকদের সুবিধার্থে ছাত্র-জনতার দাবিতে চাঁদপুর সেতুর টোল বন্ধ হয় তবে ফরিদগঞ্জ-চাঁদপুর রুটে সিএনজিচালকরা যেন এখন বেপরোয়া। 

আগে যেখানে ফরিদগঞ্জ বাস্ট্যান্ড থেকে কালিবাড়ি যাতায়াত করা যেত ৫০ টাকায়, বর্তমানে সেটা অনির্ধারিত। সকালে এক রকম ভাড়া দিতে হচ্ছে তো বিকেলে আরেক রকম। ফরিদগঞ্জ থেকে চাঁদপুর কালিবাড়ি পর্যন্ত জনপ্রতি ১০০ টাকা, ৯০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে।  লঞ্চ ঘাটে যাতায়াত করা যাত্রীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।  ঈদ উপলক্ষে সেই ভাড়া হয়ে যায় অনেক বেশি যা সঠিক ভাড়া থেকে কয়েকগুন বেশি। বৃষ্টি হলে ইচ্ছে মতো ভাড়া বাড়িয়ে নেওয়া হয়। সকাল, বিকাল, সন্ধ্যা, রাতে একেক সময়ে একেক রকম ভাড়া নিতেও দেখা যায়। যাত্রীরা এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলে সিএনজিচালকদের খারাপ ব্যবহারের শিকার হতে হয়। কেউ কেউ প্রতিবাদ করলে সিএনজিচালকরা সংঘবদ্ধ হয়ে যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করার ঘটনাও ঘটেছে।

নারী যাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণের ঘটনা ঘটছে অহরহ। সিএনজির  পিছনের সিটে ৩ জন বসা যায় সেক্ষেত্রে অনেক নারী পুরুষের সাথে সিট শেয়ার করে বসতে না চাইলে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করার ঘটনা ঘটে এ রুটে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সরকারি কলেজের এক নারী শিক্ষার্থী জানান, আমি যখনই কলেজে যাই সিএনজিচালকদের সাথে খারাপ আচরণের শিকার হই। কখনো ভাড়া অতিরিক্ত চাওয়া নিয়ে, কখনো পুরুষের সাথে বসতে না চাইলে তারা খারাপ ব্যবহার করে।

এ বিষয়ে মো. রফিক নামের এক যাত্রী বলেন, আজ ঈদের ১০ দিন চলে গেছে তবুও ফরিদগঞ্জ থেকে চাঁদপুর যেতে হলে ১০০ টাকা, ৯০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে। সন্ধ্যার পরে সে ভাড়া আরও বেশি হয়ে যায়।

এ বিষয়ে এক সিএনজিচালক অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কথা শিকার করেন। তিনি বলেন, লঞ্চ ঘাট পর্যন্ত ১০০-১২০ টাকা ভাড়া নেই। সিরিয়ালের গাড়ি তাই এরকম ভাড়া নিতে হয় এবং অনেক সময় যাত্রী পাওয়া যায় না তাই বাড়তি নিচ্ছেন তারা।

যাত্রীরা দিন দিন এ রুটে সিএনজিচালকদের কাছে জিম্মি হয়ে আসছেন। ভাড়া নিয়ে এমন হওয়ার পিছনে মূল কারণ প্রশাসন কর্তৃক মনিটরিং এবং নির্ধারিত ভাড়া না থাকাকেই দায়ী করছেন যাত্রীরা।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চাঁদপুর থেকে  ফরিদগঞ্জ রুটে নির্ধারিত ভাড়া ঠিক করা হলে জনদুর্ভোগ এবং সিএনজিচালকদের অঘোষিত চাঁদাবাজি বন্ধ হবে বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।

 

একুশে সংবাদ/চাঁ.প্র/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!