রাজশাহীর তানোরে সড়ক ও জনপথের তানোর-কাশিম বাজার প্রায় ২৭০০ মিটার সড়ক সংস্কারে নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহার ও নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ভারী বৃষ্টির মধ্যেই যেন তেন ও দায়সারাভাবে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। এলাকাবাসী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে কার্যাদেশ ক্রয় করে কাজটি করছেন রাজশাহী শহরের রজব আলী। কিন্তু সিডিউল উপেক্ষা করে নিম্নমাণের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসী ।
এতে রাস্তার স্থায়ীত্ব নিয়ে শংসয় দেখা দিয়েছে। এদিকে রাস্তা নির্মাণের পূর্বেই রাস্তার যাবতীয় তথ্য সংবলিত সাইন বোর্ড সাঁটানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোনো সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়নি। এলাকার মানুষের কাছে তথ্য গোপণ করে রাস্তার নির্মাণকাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল ইসলাম, সাদিকুল ইসলাম ও আব্দুর রহমান বলেন, গত ১৫ জুন রবিবার দিনভর ভারী ও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়। কিন্তু বৃষ্টির মধ্যেই রাস্তার কার্পেটিং কাজ করা হয়। এ সময় সেখানে সড়ক ও জনপথের (সওজ) কোনো কর্মকর্তার দেখা মেলেনি।
উপজেলা এলজিইডির এক কর্মকর্তা জানান, রাস্তার বেড ঠিকমতো মেরামত না করে বৃষ্টির মধ্যে এভাবে কার্পেটিং করার কোনো মানে হয় না। এছাড়াও বৃষ্টির মধ্যে কার্পেটিং করা হয়েছে, রোলার করার পর পরই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে ও কাদাসহ পানি জমেছে। এই রাস্তা নির্মাণের পরপরই নষ্ট হবে এনিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নাই। এদিকে (সওজ)`র এসও পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি বলেন, বৃষ্টি শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই কাজ বন্ধ করা হয়েছে। কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। ছিটেফোঁটা বৃষ্টির মধ্যেও কার্পেটিং কাজ করা যাবে না সত্য, তবে কাজ শুরুর পর বৃষ্টি হলে গরম পাথর তো ফেলে দেয়া যায় না, বৃষ্টির মধ্যেই কিছুটা কার্পেটিং করে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথের (সওজ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, সড়ক উপ-বিভাগ-১ আব্দুল মান্নাফ আকন্দ কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, রাস্তা নষ্ট হলে আবার করে দেয়া হবে? এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার ও বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে রজব আলী বলেন, তথ্য অফিসে আছে তাদের কাছে কোনো তথ্য নাই। তিনি বলেন, কাজ দেখবেন অফিস এখানে সাংবাদিকের কি কাজ। সাংবাদিকের লেখার কাজ যত খুশি লেখেন কিছুই হবে না ভাগ যায় ওপর মহলে বলে দম্ভোক্তি দেখান।
একুশে সংবাদ/রা.প্র/এ.জে