ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার ২নং চরঝাউকান্দা ইউনিয়ন একটি বৃক্ষবিহীন চরাঞ্চল। প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এই এলাকায় বনজ ও ফলজ গাছের অভাব পরিবেশগত ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এরই প্রেক্ষিতে বৃহৎ পরিসরে বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান বদু মৃধা।
চরভদ্রাসন উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে চরঝাউকান্দা সবচেয়ে অবহেলিত বলে মনে করেন স্থানীয়রা। নদীবেষ্টিত হওয়ায় এখানকার উন্নয়নও পিছিয়ে রয়েছে বলে তারা জানান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাঘাটে কিছু উন্নয়ন কাজ হলেও গাছপালা নেই বললেই চলে। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষ করে বন্যার ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে।
চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান মৃধা বলেন,"গত বছর আমরা প্রায় ২,৭০০টি গাছ রোপণ করেছি। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অনেক গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। এ বছরও কিছু গাছ লাগানো হয়েছে, রক্ষার জন্য নিজ খরচে জাল ও নেট ব্যবহার করছি। তবে বড় পরিসরে বনায়ন কর্মসূচি নিতে চাই, যাতে এই চরাঞ্চলের পরিবেশের উন্নয়ন হয়। এজন্য বন বিভাগ ও প্রশাসনের সহায়তা প্রয়োজন।"
তিনি আরও বলেন,"প্রাকৃতিক দুর্যোগে চরঝাউকান্দা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়। পর্যাপ্ত বৃক্ষ না থাকায় ভূমি ক্ষয় এবং ফসলহানির আশঙ্কা থাকে। তাই স্থায়ী সমাধান হিসেবে বৃহৎ বনায়ন কর্মসূচি জরুরি।"
সম্প্রতি বন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলে করিম চরঝাউকান্দা ইউনিয়নে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন, গাছের সংখ্যা খুবই কম। তিনি জানান,"বৃক্ষবিহীন এই এলাকায় পরিবেশ রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে বনায়ন কর্মসূচি নেওয়া প্রয়োজন। আমি বিষয়টি জেলা বন কর্মকর্তা (ডিডি) মহোদয়ের কাছে সুপারিশ আকারে পেশ করব।"
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা মনে করেন, প্রশাসনের আন্তরিকতা এবং বন বিভাগের সমন্বিত প্রচেষ্টায় চরঝাউকান্দার পরিবেশগত অবস্থার উন্নয়ন সম্ভব। বৃহৎ পরিসরে পরিকল্পিত বনায়নই হতে পারে চরাঞ্চলের টেকসই রক্ষাকবচ।
একুশে সংবাদ/ফ.প্র/এ.জে
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
