যশোরের শার্শা উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে লিটন হোসেন ওরফে কানা লিটন (৩৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এনিয়ে মাত্র ৬ দিনের ব্যবধানে শার্শায় তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, সোমবার (১০ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শার্শার লক্ষণপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের একটি মুদি দোকানের সামনে লিটন হোসেনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত লিটন হোসেন দুর্গাপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লিটনের সঙ্গে একই এলাকার কয়েকজনের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিরোধ চলছিল। এর আগেও তাকে হুমকি ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ঈদের আগের দিন সেলিম হোসেন ও রমজান আলীর সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
সোমবার রাতে যখন লিটন দোকানের সামনে একা ছিলেন, তখন একদল দুর্বৃত্ত পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালায়। স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন আব্দুল মমিন (৫৫), তার ছেলে সেলিম হোসেন (৩৫) ও রমজান আলী (৩৫)। এ সময় আরও ৩-৪ জন অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি তাদের সঙ্গে ছিলেন। তারা ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে লিটনকে উপর্যুপরি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
একটি সূত্র জানায়, নিহত লিটন একাধিক মামলার আসামি ছিলেন এবং তিনি ২০ দিন আগে কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় ফিরেছিলেন।
এ নিয়ে চলতি মাসের ৫ জুন শার্শার নাভারনের দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামে বিএনপি কর্মী সবুজ হোসেন এবং ৭ জুন ঈদের রাতে ডুবপাড়া গ্রামে বিএনপি নেতা আব্দুল হাই খুন হন। সর্বশেষ এই ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হোসেন বলেন, "ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। অভিযুক্তদের শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে।"
একুশে সংবাদ/য.প্র/এ.জে