যশোরের শার্শা উপজেলায় ঈদের জামাতকে ঘিরে বিরোধের জেরে ঘটে গেছে প্রাণঘাতী বোমা হামলা। এতে আব্দুল হাই (৫০) নামের একজন বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন মো. জিয়া (৩২) নামে অপর এক ব্যক্তি।
শনিবার (৮ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডুবপাড়া গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন সকালে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের একটি ঈদগাহ মাঠে জামাতে অংশগ্রহণ নিয়ে বিরোধের সূচনা হয়। অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগপন্থী কয়েকজনকে ঈদের নামাজে অংশ নিতে বাধা দেন বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা জামসেদ আলীর ছেলে আবু সাইদ। এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন আব্দুল হাইসহ উপস্থিত বিএনপি সমর্থকরা। এর পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে আবু সাইদ তাঁর অনুসারীদের নিয়ে ঈদগাহ ত্যাগ করেন।
রাতে ডুবপাড়া এলাকার জামতলা মোড়ে অবস্থানকালে আব্দুল হাইয়ের ওপর বোমা ছোড়েন আবু সাইদ। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই হামলায় আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে থাকা জিয়া নামের আরেকজন আহত হন এবং তিনি বর্তমানে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন দাবি করেন, ঈদের নামাজে অংশ নিতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, “আবু সাইদ বিএনপির কেউ নয়, সে নিজেকে দলের সঙ্গে জড়ানোর চেষ্টা করলেও প্রকৃতপক্ষে একজন সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্ত। তার পরিবারের কেউ বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল না।”
ঘটনার বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল মিয়া জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং হামলায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/আ.ট/ এ.জে