নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় এক দিনে দুই অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে একজন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এবং অন্যজন বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন।
শনিবার (৩১ মে) সকাল ৬.৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের মারুফা (৩০) নামের এক গৃহবধূ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান। তিনি কুতুবপুর গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মারুফা আজ সকাল ৬.৩০ ঘটিকার সময় বাথরুমে যান। সকলের অজান্তে ঝড় বৃষ্টিতে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে বাথরুমের টিনের সাথে বিদ্যুৎ সংযোগ হওয়ার কারণে মারুফা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপর দিকে দিনের অন্য ঘটনায়, আজ দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার গরাডোবা ইউনিয়নের ডুমডী গ্রামে বজ্রপাতে মীম আক্তার (১৪) নামে এক ষষ্ঠ শ্রেণির মাদরাসা শিক্ষার্থী মারা গিয়েছে। সে ডুমডী ওয়াই হাফেজিয়া মাদরাসায় ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। মীম ডুমডী গ্রামের আলী ইসলাম ও রীনা আক্তারের মেয়ে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত মীম দুপুরের দিকে বাড়ির পাশের মাঠ থেকে গরু আনতে যায়। এমন সময় বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। পরে বজ্রপাতে সে মাঠেই মারা যায়।
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার উভয় পরিবারের সাথে কথা বলেছেন এবং প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মারুফা নামের এক গৃহবধূ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এবং ডুমডী গ্রামের মীম নামের এক মাদরাসা শিক্ষার্থী বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন। এ দুই ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা প্রক্রিয়াধীন।
একুশে সংবাদ / নে.প্র/এ.জে