ঝালকাঠির চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রবিবার (২৫ মে) দুপুরে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এক গৃহবধূ। এ সময় পুলিশ তাকে দ্রুত নিবৃত্ত করে। গৃহবধূর নাম নসুরাত জাহান। তিনি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়া গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৭ মার্চ নিজের স্বামী আল-আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে মারধরের অভিযোগে নলছিটি থানায় একটি মামলা করেন নুসরাত জাহান। মামলায় তার স্বামীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
রবিবার দুপুরে জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। শুনানিতে নুসরাত জাহানকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকৃতি জানান আল আমিন। এতে রাগ ও অভিমানে আদালতের কাঠগড়ায় তার স্বামীর সামনেই নিজের গায়ে কেরোসিন ঢালেন। এ সময় দ্রুত পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
আদালতের প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা জানান, বিচারক এজলাসে উঠার আগেই একটি সেভেন আপের প্লাস্টিক বোতলের মুখ খুলেই শরীরে কেরোসিন ঢেলে গ্যাসলাইট দিয়ে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করেন ওই নারী। এ সময় পুলিশ তাকে বাধা দিলে শরীর থেকে কেরোসিনের গন্ধ বের হয়।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন আকন খোকন জানান, নুসরাত তার স্বামী আল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার স্বামী তাকে নিয়ে সংসার করতে না চাওয়ায় গায়ে কেরাসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এ বিষয় কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক পুলক চন্দ্র রায় জানান, স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে এক নারী গায়ে কেরোসিন ঢালেন। দায়িত্বরত পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে। পরে মানসিক স্বস্তির জন্য তাকে কিছুক্ষণ বসিয়ে রেখে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
একুশে সংবাদ/ ঝা.প্র /এ.জে