ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ফসলি জমি, বিল রক্ষা, পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা, গোরকই-লোলতাই বিল সংস্কার ও বিলের পাড়ে পাকা রাস্তা নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন বিল সংস্কারের দাবিতে গঠিত কমিটি ও এলাকার জমির মালিক ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা।
রবিবার (২৫ মে) বিকাল সাড়ে ৩টার সময় উপজেলার নন্দুয়ারর ইউনিয়নের জওগাঁও এলাকার গোরকই-লোলতাই বিলের সামনে এ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের জওগাঁও লোলতই ব্রিজ থেকে গাজিরহাট ভন্ডগ্রাম ব্রিজ পর্যন্ত বিস্তৃর্ণ ৫ কিলোমিটার এই বিলটি ওই এলাকার হাজার হাজার কৃষকের একমাত্র সম্বল বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বৃহত্তর বগুড়া ও দিনাজপুর জেলা ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের আওতায় লোলতই খাল খনন করেন। এতে করে বিলের পানি খালের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কৃষকরা বছরে আমন, বোরো ধান ও সরিষাসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করতে পারছিলেন।
কিন্তু খালের উপরে ব্যবহৃত রাস্তা পাকা না হওয়ায় মাটি পুনরায় খালে পড়ে যাওয়ার কারণে খালটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং পুনরায় জলবদ্ধতা তৈরি হওয়ার কারণে জমিতে পানি জমে থাকে, ধানসহ অন্যান্য ফসল চাষ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং কৃষিজীবীদের জীবিকায় নেমে এসেছে বিপর্যয়। কৃষকরা জমিতে চাষ করে শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
খালটি পুনরায় খনন ও বিল পাড়ের ব্যবহৃত ধসে যাওয়া রাস্তাটি পুনঃসংস্কার ও নতুন পাকা রাস্তা নির্মাণ করার দাবিতে মানববন্ধনে বক্তারা তাদের বক্তব্যে তারা সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ জানান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই অঞ্চলের কৃষির উপর নির্ভর করে হাজারো পরিবার। খালটি পুনরায় খনন ও বিল পাড়ের ব্যবহৃত ধসে যাওয়া রাস্তাটি পুনঃসংস্কার ও নতুন পাকা রাস্তা নির্মাণ না করার কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে ফসলহানির পাশাপাশি পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে।
তারা দ্রুত খালটি পুনরায় খনন ও বিল পাড়ের ব্যবহৃত ধ্সে যাওয়া রাস্তাটি পুনঃসংস্কার ও নতুন পাকা রাস্তা নির্মাণ করে পানি চলাচল নিশ্চিত ও আবাদি জমির স্থায়িত্ব রক্ষায় প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান শুভ, নন্দুয়ার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জমিরুল ইসলাম, এসএমই কৃষক আলমগীর হোসেন ও কৃষক নুর মোহাম্মদসহ আরো অনেকে।
একুশে সংবাদ/ ঠা.প্র /এ.জে