AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বড়াইগ্রামে ধর্ষণ চেষ্টার দায়ে আটক শিল্পপতিকে ছেড়ে দিলো পুলিশ



বড়াইগ্রামে ধর্ষণ চেষ্টার দায়ে আটক শিল্পপতিকে ছেড়ে দিলো পুলিশ

নাটোরের বড়াইগ্রামে মমিন গাজী নামের এক শিল্পপতিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে হাতে নাতে ধরেও ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে উপজেলার বনপাড়া বাজারের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের তিন তলায় নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। মমিন গাজী বনপাড়া পৌর এলাকার বাসিন্দা ও মহিষভাঙ্গা এলাকার গাজী অটো রাইচ মিলের স্বত্বাধিকারী।

বনপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী জানান, ভুক্তভোগী মেয়েটি আমার মামাতো বোনের মেয়ে। তার বাবার বাড়ি লালপুর উপজেলা গোপালপুর পৌর এলাকায়। বিয়ে হয়েছিল বগুড়ায়। শুক্রবার তার স্বামী তাকে মারপিট করে। খবর পেয়ে আমি গিয়ে রাত ১২ টার দিকে তাকে বনপাড়াতে নিয়ে আসি। কিন্তু এতো রাতে গোপালপুর যাওয়ার কোন যানবাহন না থাকায় তাকে বন্ধু মমিন গাজীর বাড়িতে রেখে আসি। সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারি আমার ভাগনীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ মমিন গাজীকে আটক করেছে। আর ভাগনীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। তিনি আরো বলেন, পরে ভাগনীর কাছে গিয়ে জানতে পারি যে, আমি রেখে আসার পর মমিন গাজী নেশা করে আমার ভাগনীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে সে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ভর্তি করে।

দুপুরে সরেজমিনে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য রোগীরা নির্ধারিত ওয়ার্ডে ভর্তি থাকলেও পুলিশ পাহারায় ওই মেয়েটিকে নতুন ভবনের আলাদা একটি কক্ষের ভেতরে একটি বেডে শুইয়ে রাখা হয়েছে। এ সময় অভিযুক্ত মমিন গাজীর ছোট ভাই মাহবুব গাজীকে ওই বেডের পাশে বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলেও মেয়েটিকে তারা কথা বলতে দেননি। কিছুক্ষণ পরেই মাহবুব গাজীসহ অন্যদের সহায়তায় তারা কৌশলে মেয়েটিকে হাসপাতাল থেকে বের করে দ্রুত একটি প্রাইভেট কারে চড়িয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় হাসপাতালের ওই কক্ষের বাইরে বসে থাকা মেয়েটির মায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এমনিতেই খুব চাপে আছি, আমি এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছি না। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, অভিযুক্তরা এলাকায় খুবই প্রভাবশালী ও ধনী। তারা মেয়ে ও তার স্বজনদের চাপে রেখেছে। এ কারণে তারা কারো সাথে কথা বলতে পারছে না, এমনকি মামলা করতেও যেতে পারছে না।  

অভিযুক্ত মমিন গাজীর একাধিক প্রতিবেশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ভোর সাড়ে চারটার দিকে মেয়েটির চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পাই। কিছুক্ষণ পরই ওই বাড়ির সামনে পুলিশের গাড়ি এসে তাদের দুজনকেই নিয়ে যায়। মেয়েটিকে বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে রাতে ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়েছে বলে শুনেছি। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ডলি রাণী বলেন, ভোরে পুলিশ এসে মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে। আমরা তাকে চিকিৎসা দিয়েছি। তবে থানায় মামলা না হওয়ায় ধর্ষণ বা ধর্ষণ চেষ্টার কোন পরীক্ষা আমরা করতে পারিনি। 

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, ৯৯৯ নম্বরের ফোন পেয়ে মমিন গাজী নামের একজনকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু পরে কোন লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

 

একুশে সংবাদ/ না.প্র /এ.জে
 

Link copied!