AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে পড়ায় চিত্রা নদের দুই পাড়ের সাত গ্রামের মানুষের ভোগান্তি, স্থায়ী সমাধান চান ভুক্তভোগীরা



বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে পড়ায় চিত্রা নদের দুই পাড়ের সাত গ্রামের মানুষের ভোগান্তি, স্থায়ী সমাধান চান ভুক্তভোগীরা

চিত্রা নদের দুই পাড়ের সাত গ্রামের মানুষের একমাত্র সেতুবন্ধন বাঁশের সাঁকোটি। যেটি বৃষ্টির পানির প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে পড়েছে। এতে করে দুই পাড়ের মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এ সাঁকোটি কোটচাঁদপুরে উপজেলার তালসার ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সুতি দূর্গাপুরের সংযোগ স্থলে নির্মিত। এ অবস্থা থেকে স্থায়ী সমাধান চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ও একই জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার  কয়েকটি গ্রামের মানুষের মিলন ঘটিয়েছে চিত্রা নদের উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি। যা ২০০৭ সালের দিকে দুই পাড়ের ৭ গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছাশ্রম ও আর্থিক সহায়তায় নির্মিত হয়।

গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে ঝিনাইদহ সদরের গোপালপুর, হাজিডাঙ্গা, সুতি, মধুহাটি ও কোটচাঁদপুরের তালসার, ঘাগা, কুশনা।
এই সেতুটি প্রতিবছর বৃষ্টির সময় আসলে পানির প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে পড়ে। এতে করে দুই পাড়ের ১০ হাজার মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে যায় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া। বাজারজাত করতে পারেন না চাষিদের উৎপাদিত পণ্য। এ অবস্থা থেকে স্থায়ী সমাধান চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চিত্রা নদের ওপারের সুতী গ্রামের স্বপন পুন্ডুরি বলেন, আমাদের এপার থেকে সাঁকো পার হয়ে ওপারে স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীরা পড়তে যায়। কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে যান ওপারে। কয়েক দিন ধরে আমরা চরম বিপাকে আছি। বন্ধ হয়েছে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া। প্রতিবছর আমাদের এ সমস্যায় পড়তে হয়। এর একটা স্থায়ী সমাধান হওয়া প্রয়োজন।

কোটচাঁদপুরের তালসার গ্রামের সাঁকোর পাড়ের মুদি দোকানি আসাদুল ইসলাম বলেন, অবিরাম বৃষ্টির পানিতে ভেঙ্গে পড়েছে সাঁকোটি।  এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন দুই পারের ৭ গ্রামের মানুষ। পার হয়ে স্কুল,কলেজে আসতে পারছে না অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। কৃষকরা তাদের পণ্য বিক্রি করতে আসতে পারছে না।

তিনি বলেন, সাঁকোটি নির্মাণের পর বেশ কয়েক বার ভেঙে পড়েছে, তা আমরা দুই পারের মানুষের স্বেচ্ছা শ্রমে প্রতিবছর মেরামত করা হয়। আর প্রতিবছর আমাদেরকে ভোগান্তি পোহাতে হয় সাঁকোটি নিয়ে। এ সমস্যার  একটা স্থায়ী সমাধানের জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ওই ভুক্তভোগী মুদি দোকানি।

ওই গ্রামের আকিমুল ইসলাম সাজু বলেন, গেল বছর পানির প্রবল স্রোতে সাঁকোটি ভেঙে পড়ে। আর তা পড়ে থাকে মাসেরও উপরে। দুই পারের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে ধর্না ধরেও কোনো লাভ হয়নি।  পরে আবারও দুই পারের মানুষের সহায়তায় মেরামত করা হয় সাঁকোটি। তিনিও এর স্থায়ী সমাধান চেয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে কুশনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুজ্জামান সবুজ বলেন, বৃষ্টির সময় এলেই সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়ে। এটা চিত্রা পাড়ের মানুষের প্রতি বছরের একটা ভোগান্তি। এ  বিষয়টি নিয়ে এর আগে অনেক বার কথা বলেছি। তবে তেমন সাড়া মেলেনি। এ বছর আবারও সাঁকোটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব, যেন এর একটা স্থায়ী সমাধান হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আনিসুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে যোগাযোগ করা হয়। তবে তিনি কল রিসিভ করেননি। 

 

একুশে সংবাদ/ঝি.প্র /এ.জে

Link copied!