নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গুতিয়াবো এলাকার শত বছরের পুরনো ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেক্সিমকো গ্রুপ অবৈধভাবে দখল করে রেখেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক সালমান এফ রহমানের প্রভাব খাটিয়ে সরকারি ও জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট এই রাস্তা কোম্পানির সীমানার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে সাধারণ মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হয়।
গত ৫ আগস্ট ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর স্থানীয় বাসিন্দারা গণউপস্থিতিতে কোম্পানির তৈরি করা প্রাচীর ভেঙে রাস্তাটি পুনরুদ্ধার করেন।
তবে এলাকাবাসীর দাবি, দখলমুক্ত করার পরও একটি প্রভাবশালী মহল কোম্পানির স্বার্থে আবারও রাস্তার দিক পরিবর্তন করে জনগণের স্বাভাবিক চলাচলে বাধা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মসিউর রহমান টিপু বলেন, আমি আমার শৈশব থেকে এই রাস্তা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে গেছি। এখন সেই রাস্তায় দেয়াল তুলে আমাদের আটকে দেওয়া হয়েছিল। এটা কোনো স্বাধীন দেশের চিত্র হতে পারে না। আমরা জোর করে রাস্তা উদ্ধার করেছি, প্রয়োজনে আবার করব।
মনসুর মিয়া বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে জন্মসনদ, নাগরিকত্ব, ভাতার কাগজসহ নানা প্রয়োজন নিয়ে যেতে হয়। অথচ সাধারণ মানুষকে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে আসতে বাধ্য করা হচ্ছিল। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা আগে যেই রাস্তা ব্যবহার করেছি সেই রাস্তা পুনরুদ্ধার চাই।
স্থানীয় মোশারফ মোল্লা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা শুধু রাস্তা না, এটা আমাদের অধিকার। এই জায়গা দিয়ে শুধু ইউনিয়ন পরিষদে না, মাঠে, কবরস্থানে, মসজিদে যাওয়াও ব্যাহত হচ্ছিল। রাস্তা ফিরিয়ে না পেলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দেব।’
মনির মাস্টার বলেন, আমরা গরিব মানুষ আমাদের কোনো নেতা নেই, পেছনে টাকা নেই। আমরা শুধু ন্যায়বিচার চাই। এই রাস্তা নিয়ে যদি আবার চালবাজি করা হয়, আমরা ঘরে বসে থাকব না।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মানিক মিয়া, জজ মিয়া, রাশিদুল ইসলাম রাজীব, কবি হেলাল, জালাল মিয়া , সুমন মোল্লা, রাশেদুল ইসলাম, মোবারক মোল্লাসহ শতাধিক এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে বেক্সিমকো গ্রুপের কারও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, জনগণের অধিকার হরণ করার যেকোনো চেষ্টার বিরুদ্ধে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।
একুশে সংবাদ/ না.প্র/এ.জে