“কোনো কুচক্রী মহলের ক্ষমতা ধরে রাখার লোভে নির্বাচন পিছিয়ে যাক—এটা আমরা চাই না,” বলেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য ও নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন।
রোববার (১৮ মে) বিকেলে নীলফামারীর ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এক গণসংবর্ধনা ও জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বর্তমান সরকারের ভিতরে কিছু ‘ভূত’ আছে, যারা দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা চিন্তা করছে। করিডোরের চিন্তা করছে মিয়ানমারের জন্য, যা জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে করা হলে দেশে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।”
তুহিন আরও বলেন, “আমরা ১৬ বছরের দমন-পীড়ন থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমরা চাই না নতুন করে দেশে সহিংসতা হোক, নির্বাচন পেছানো হোক বা দেশকে আবার অস্থিতিশীল করে তোলা হোক।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহল বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অথচ বিএনপিই প্রথম ৩১ দফা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিল। আমরা অতীতে চক্রান্তে আটকে যাইনি, এবারও আটকে যাব না।”
বিএনপির সমর্থন বিষয়ে তিনি বলেন:“আমরা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন করছি, যদি তারা সঠিক পথে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ব্যবস্থা করে। কিন্তু ব্যত্যয় ঘটলে আমরা অতীতের মতো আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।”
জনসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন:জেলা বিএনপির সভাপতি আ. খ. ম. আলমগীর সরকার, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান রানা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী প্রধান।
নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তুহিন বলেন:“আপনারা সজাগ ও সচেতন থাকুন। প্রয়োজনে আমরা আবারও রাস্তায় নামব।”
তিনি আরও বলেন, “এই দেশের মানুষ ধার্মিক, কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। বিএনপি ইসলামকে ব্যবহার করে রাজনীতি করে না, আমরা বিশ্বাস করি ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার।’”
প্রসঙ্গত: দীর্ঘ ১৮ বছর পর দেশে ফিরে তুহিন কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন না পেয়ে কারাগারে যান। পরে হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পান তিনি।
একুশে সংবাদ/নী.প্র/এ.জে