নেত্রকোণার চল্লিশা রেল ব্রিজে ১৩টি বগি রেখেই এগিয়ে যায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন। শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শতাধিক যাত্রী। ঘন অন্ধকারে রেল ব্রিজের ওপর প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আটকে রয়েছেন তারা।
কমলাপুর থেকে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি নেত্রকোণা সদরের চল্লিশা এলাকায় পৌঁছালে আকস্মিক একটি বিকট শব্দ ও ঝাঁকুনি অনুভব করেন যাত্রীরা। কিছুক্ষণ পরই ট্রেন থেমে যায়। পরে জানা যায়, ট্রেনের প্রথম বগির বাফার সেল ভেঙে যাওয়ায় ১৩টি বগি ইঞ্জিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইঞ্জিন ও একটি বগি নিয়ে ট্রেন চলে যায় নেত্রকোণা রেল স্টেশনে।
দুর্ঘটনার প্রায় তিন ঘণ্টা পার হলেও রিলিফ ট্রেন না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, “এমন একটা রেল ব্রিজের মাঝখানে আমরা আটকে আছি, কোথাও নামতেও পারছি না। বৃষ্টি আর অন্ধকারে খুব অনিরাপদ লাগছে।”
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের পরিচালক জাহিদ হোসেন সাঈদ জানান, বিচ্ছিন্ন বগিগুলোর কাছে ফিরে গেলেও ইঞ্জিন এখনো আটকে আছে। ময়মনসিংহ থেকে রিলিফ ট্রেন রওনা দিয়েছে, আশা করা হচ্ছে এক ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার কাজ শুরু হবে। তবে রাত ১০টা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ শুরু করা যায়নি মুষলধারে বৃষ্টির কারণে।
এ ঘটনার পর নিরাপত্তা, রেল ব্যবস্থাপনা ও জরুরি সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে