মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। কামলার হাটে বাড়তি মজুরি দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত শ্রমিক। ফলে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
সূর্য ওঠার আগেই শ্রমজীবী মানুষ ছুটে আসছেন সাটুরিয়া-ধামরাই উপজেলার সীমানা ঘেঁষা পশ্চিম নান্দেশ্বরী এলাকার ঐতিহ্যবাহী কামলার হাটে। কারও চোখেমুখে অসহায়তার ছাপ, আবার কেউ এসেছেন শ্রমিক খুঁজতে। কেউ এসেছেন নিজেদের শ্রম বিক্রি করতে, কেউ বা এসেছেন শ্রমিক নিয়োগ দিতে। চলছে দর কষাকষি। মৌসুম অনুযায়ী শ্রমের দামেও উঠানামা দেখা যাচ্ছে।
চলমান প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে শ্রমের বাজারে চাহিদা থাকলেও সরবরাহ কম। ফলে মজুরি বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, রাজশাহী, রংপুর, পাবনা, নাগরপুর, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকরা এসেছেন এই হাটে। একজন শ্রমিকের মজুরি বর্তমানে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। সঙ্গে তিন বেলা খাবার ও যাতায়াত খরচও দিতে হচ্ছে চাষিদের।
সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি ইউনিয়নের আইরমারা গ্রামের কৃষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “আমার প্রায় ৪–৫ বিঘা জমির ধান কাটতে শ্রমিক দরকার। কিন্তু প্রচণ্ড গরমের কারণে এবার শ্রমিক আসছে কম। যারা এসেছে, তারা ১২০০ টাকার নিচে যেতে রাজি না। কিন্তু এই মজুরিতে ধান বিক্রি করে খরচ ওঠানো কঠিন হয়ে পড়ছে।”
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, শ্রমিক সংকট, অতিরিক্ত মজুরি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মিলিয়ে কৃষিকাজ দিনদিন অলাভজনক হয়ে উঠছে। তাতে কৃষিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় কোনো ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে কিনা, তা জানতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
একুশে সংবাদ/মা.প্র/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

