তীব্র থেকে প্রতি তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। তাপদাহে পড়ছে চুয়াডাঙ্গা। জনজীবন হাসফাস অবস্থায় পরিণত হয়েছে। মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। তাপদাহে মানুষের হিটস্ট্রোকসহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূর্যের প্রখরতায় পুড়ছে মাঠের ফসল। টানা তিন দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়। রোববার বিকেল ৩ টার সময় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ২৬ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আলতাফ হোসেন জানান, গত ৪ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে জেলায়। গরমের কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই। রোববার দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ২৬ শতাংশ। সূর্যের প্রখরতার কারণে তাপ বেশি অনুভূত হচ্ছে।
টানা তাপদাহের কারণে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। কাজের সন্ধানে বের হয়েও কাজ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। ভ্যানচালক, ইজিবাইক চালক রিকশাচালক ও দিনমজুররা দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও প্রয়োজনীয় কাজ পাচ্ছেন না ও ভাড়াও হচ্ছে না। কাজ না পেয়ে এবং ভাড়া না হওয়ায় গাছের নিচে বসে অলস সময় পার করছেন তারা। পথচারীরা তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশে শরবত ও ফলের দোকানে ভিড় করছেন।
কৃষকরা বলছেন, তাদের ফসলের জমিতে সকালে সেচ দিলে বিকালে শুকিয়ে যাচ্ছে। পানির অভাবে অনেক মাট ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত তাপের কারণে ফসল শুকিয়ে যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে গরম জনিত রোগে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
একুশে সংবাদ/চু.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :