ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের পিংরি এলকার তরুণ উদ্যোক্তা মো. আজিজুল হক নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন একটি দৃষ্টিনন্দিত আম বাগান। পড়াশুনা শেষ করে আজিজ ঢাকায় চাকুরী করাবস্থায় ২০১৪ সালে নিজ এলাকায় কিছু করার চিন্তা থেকেই আজিজ শুরু করেন ফলদ বৃক্ষ রোপন।
শুরুর দিকে বাড়ির পাশে অল্প কিছু পতিত জমিতে বাগান শুরু করলেও বর্তমানে তার বাগানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ বিঘা।
আগামীতে স্থানীয় অর্থনীতিতে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এ বাগান। কৃষি ভিত্তিক এই উদ্যোগ শুধু তার নিজেরই নয়, আশেপাশের অনেক মানুষের জীবিকারও উৎস হয়ে উঠেছে
বাগানে রয়েছে হাড়িভাঙ্গা, অম্রপালী, হিমসাগর, কহিতোর ও কাঁচামিঠা—এতে রয়েছে ৫টি জাতের সুমিষ্ট উন্নত মানের আম।
বাগান ঘুরে দেখা যায়, শুধু আম নয়, একই সঙ্গে সেখানে রয়েছে জাম, লিচু ও আমড়ার গাছও। পাশাপাশি রয়েছে মাছ চাষ, হাঁস-মুরগি ও গরুর খামার।
চলতি মৌসুমে বাগান থেকে কয়েক টন আম উৎপাদনের আশা করছেন আজিজুল। তিনি জানান, ভবিষ্যতে অনলাইন ও অফলাইন বাজারের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এই আম সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আজিজুল হক বলেন, “শুরুটা সহজ ছিল না। প্রথম দুই-তিন বছর লোকসান গুনেছি। তবে পরিবারের উৎসাহ, ধৈর্য ও পরিশ্রমই আজ আমাকে এই জায়গায় এনেছে।”
এই উদ্যোগ শুধু তার নিজেরই নয়, আশপাশের অনেক মানুষের জীবিকার উৎস হয়ে উঠেছে। আজিজুল বর্তমানে স্থানীয় যুবকদের কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার কাজেও যুক্ত আছেন।
এ বিষয়ে রাজাপুর কৃষি উপ অফিসার শাহিদা শারমিন আফরোজ বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী আজিজুল কোনো কীটনাশক ব্যবহার করেননি। অথচ ফলবাগানগুলোয় কৃষকেরা অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করেন। এতে ফলের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়, যা দেহের জন্য ক্ষতিকর। যাঁরা নিরাপদ আম উৎপাদনের চেষ্টা করছেন, তাঁরা কীটনাশক ব্যবহার না করে ফ্রুট ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন।
একুশে সংবাদ/ঝা.প্র/এ.জে