চুয়াডাঙ্গা জেলায় বিরামহীন দাবদাহে জনজীবন কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। চলমান তীব্র গরমে অসহায় হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেল ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৩৪ শতাংশ। আবহাওয়াবিদদের মতে, আর্দ্রতার কারণেই গরমের তীব্রতা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, “জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী কয়েকদিন এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।”
তীব্র দাবদাহের কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ। প্রচণ্ড রোদের মধ্যে রোজগারের জন্য তাদের রাস্তায় নামতেই হচ্ছে।
পথচারী আনিছুর রহমান বলেন, “এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ঘুরি, কিন্তু রাস্তায় দাঁড়ালে মনে হয় আগুন ঝরছে। মাথা গরম হয়ে যায়, শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। গা ঘেমে একেবারে শুকিয়ে যায়।”
এই গরমে শুধু শ্রমজীবী নয়, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থরাও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হিটস্ট্রোক, পানিশূন্যতা ও ঘামজনিত সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা গরমে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন। তারা প্রচুর পানি পান, রোদে সরাসরি না যাওয়া এবং হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের যত্নে রাখার তাগিদ দেন।
দাবদাহ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল।
একুশে সংবাদ/চু.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :