বৈশাখের শেষের দিকে জীবননগর বাজারে উঠতে শুরু করেছে গ্রীষ্মের রসালো ফল লিচু।প্রথম দিকে বাজারে দেশি জাতের আগাম লিচু বিক্রি হচ্ছে। এই লিচু গুলোর আটি মোটা, আকারে ছোট ও স্বাদে টক যার কারনে এর চাহিদা না থাকায় বেচাবিক্রি কিছুটা কম লক্ষ করা গেছে।আর কয়েকদিন পর বিভিন্ন প্রজাতির হাইব্রিড জাতের সুস্বাদু লিচু বাজারে আসতে শুরু করবে।তখন আরও জমে উঠবে লিচুর বাজার।
জীবননগর বাসস্ট্যান্ড বাজারের বিভিন্ন স্থানে থোকায় থোকায় সাজিয়ে দেশি জাতের লিচু বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতিটি থোকায় ৫০ টি করে লিচু আছে।১০০ পিস লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। অগ্রিম বাজারে আসায় কিছু কিছু ক্রেতা কিনলেও দেশি জাতের,আকারে ছোট ও টক হওয়ার কারনে লিচু এখন তুলনামূলক কম বিক্রি হচ্ছে।
জীবননগর বাসস্ট্যান্ড বাজার ছাড়াও উথলী মোড়,আন্দুলবাড়িয়া বাজার,হাসাদাহ বাজার,রায়পুর বাজার,মনোহরপুর বাজার সহ বিভিন্ন চৌরাস্তা ও জনাকীর্ণ স্থানে ঝুড়িতে ফেরি করে লিচু বিক্রি করতে দেখা গেছে। তাছাড়া জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন ফলের আড়তে পাইকারি ও খুচরা দরে লিচু কেনা বেচা হচ্ছে।
জীবননগর বাজারে লিচু কিনতে আসা মসলেম আলী জানায়,এখনো লিচু পরিপূর্ণ পরিপক্ব হয়নি তুবও বাড়িতে নাতি-নাতনীদের জন্য ৩০০ টাকা দিয়ে ২ থোকায় ১০০ টি লিচু কিনলাম।কেনার আগে একটা লিচু খেয়ে দেখাম কিছুটা টক তবে স্বাদ আছে। এই মৌসুমের প্রথম বাজারে এসেছে বলে আজ নিলাম।
জাহাঙ্গীর হোসেন নামের আরেক লিচু ক্রেতা বলেন,জীবননগর বাজারে এই মৌসুমে প্রথম লিচু এসেছে তাই ১৫০ টাকা দিয়ে ৫০ টি লিচু কিনলাম। বিক্রেতা ১ টাকাও কম রাখেনি।লিচু টক নাকি মিষ্টি এখনো খেয়ে দেখা হয়নি।বাড়িতে বাচ্চাদের জন্য নিয়ে যাচ্ছি।
জীবননগর বাসস্ট্যান্ডে লিচু বিক্রেতা আতাউর রহমান বলেন, প্রথমদিকে এখন বাজারে দেশি জাতের লিচু এসেছে। আমরা আড়তদারের কাছ থেকে ও বাগান মালিক থেকে লিচু সংগ্রহ করে বিক্রি করি।আর কিছুদিন পরে বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের সুস্বাদু লিচু বাজারে পাওয়া যাবে। তখন লিচুর দাম কমে যাবে সেই সাথে চাহিদা ও বেচা বিক্রি আরও বাড়বে।
পুষ্টিগুণে ভরপুর রসালো ফল লিচুতে রয়েছে নানা উপকারিতা।চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে, লিচু শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে, যা ত্বক, দাঁত ও হাড়ের জন্য উপকারী।এতে ফ্ল্যাভানয়েডস নামের একটি উপাদান থাকে যা মহিলাদের স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।পাকা লিচু ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।লিচুতে থাকা পটাসিয়াম আমাদের রক্ত ও নালির চাপ কমিয়ে রক্তের স্বাভাবিক গতি বাড়ায়। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
একুশে সংবাদ/চু.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :