চট্টগ্রামে আসন্ন কোরবানির ঈদকে ঘিরে গরু, ছাগল ও অন্যান্য কোরবানির পশুর চাহিদা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯ লাখে। যা গত বছরের তুলনায় সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি। এদিকে জেলার খামার ও বাড়িতে প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৮২টি পশু। ফলে ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার ৩৮৭টি পশু। তবে এই ঘাটতি পূরণে পার্শ্ববর্তী জেলা ও উত্তরাঞ্চল থেকে পশু সরবরাহের ফলে কোনো বড় সংকট হবে না বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কোরবানির জন্য প্রস্তুত পশুগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ২৯টি ষাঁড়, ১ লাখ ২১ হাজার ৬৭০টি বলদ, ৪৯ হাজার ১১৪টি গাভী, ৬৪ হাজার ১৬৩টি মহিষ, ২ লাখ ৫ হাজার ১৭৪টি ছাগল, ৫৫ হাজার ৬৯৭টি ভেড়া এবং ৩৩টি অন্যান্য জাতের পশু।
চাহিদার তুলনায় কিছুটা ঘাটতি থাকলেও কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রামে প্রতি বছর খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ, ফরিদপুর, কুমিল্লাসহ আশপাশের জেলা থেকে প্রচুর পশু আসে। এসব এলাকা থেকে এবারও পশু সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। ফলে পশুর বাজারে ঘাটতির প্রভাব পড়বে না।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর বলেন, “চট্টগ্রামে পশুর চাহিদা কিছুটা বেশি হলেও উদ্বৃত্ত জেলা থেকে সরবরাহ নিশ্চিত হলে তা কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না। তবে এবার পশুর উৎপাদন খরচ কিছুটা বেশি হওয়ায় দাম কিছুটা বাড়তে পারে।”
প্রতিবছরের মতো এবারও নগর ও গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে পশুর হাট বসানো হবে। চট্টগ্রামে প্রায় ৩০টির মতো পশুর হাট বসে যেখানে আশপাশের জেলা থেকেও ব্যাপক পশু সরবরাহ হয়।
এ বছর চাহিদা ও ঘাটতির দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি রয়েছে ডবলমুরিং এলাকায় (৩৭,৫০০টি)। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি উদ্বৃত্ত পশু রয়েছে ফটিকছড়িতে (৯,১১১টি)। সবচেয়ে বেশি পশুর চাহিদা রয়েছে সন্দ্বীপে (৮৫,২৫০টি) এবং সবচেয়ে কম চাহিদা রয়েছে বোয়ালখালীতে (২৯,৭৪২টি)।
পশুর চাহিদা অনুযায়ী অন্যান্য উল্লেখযোগ্য এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে পটিয়ায় ৭০,১৮০টি, আনোয়ারায় ৬৩,৪২৮টি, মিরসরাইয়ে ৫৮,৭৮০টি, সীতাকুণ্ডে ৫৬,৮৫০টি, বাঁশখালীতে ৫৯,৪০৪টি এবং হাটহাজারীতে ৪৪,৮৯০টি পশুর চাহিদা।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর মতে, কোরবানির পশুর সরবরাহ, দাম এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
একুশে সংবাদ/চ.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :