আটাশে বছর আগে বরখাস্ত হওয়া ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহারের নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। রায়ে আরও বলা হয়েছে, চাকরি হারানো কর্মকর্তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা ফেরত দিতে হবে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আপিল বিভাগ উল্লেখ করে, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ দেওয়া ছিল স্বাধীন ও সার্বভৌম ক্ষমতায় অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপের শামিল।
সোমবার (১৮ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ এ বিষয়ে একটি রায় দিয়েছিল। পরে আপিল এবং চারটি পৃথক রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হলো।
পটভূমিতে জানা যায়, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওই ৮৫ জন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করে। যদিও ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল তাদের পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর একই বছরের ২৫ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি সেই রায় স্থগিত করেন এবং নিয়মিত আপিল করার নির্দেশ দেন। পরে ১২ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সরকারের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে।
সর্বশেষ শুনানিতে বরখাস্ত কর্মকর্তাদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহউদ্দিন দোলন, প্রবীর নিয়োগী ও মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল যুক্তি উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক এবং আইনজীবী মুহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া।
একুশে সংবাদ/য.ট/এ.জে