বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার মরিচ চাষীরা এই মুহূর্তে মারাত্মক দুশ্চিন্তার মধ্যে সময় পার করছেন। সদ্য লাগানো মরিচ গাছের পরিচর্যায় তীব্র গরম উপেক্ষা করে ব্যস্ত থাকলেও তাদের মনে আশঙ্কা—আলুর মতো এবার মরিচেও যেন লোকসান না হয়। সম্প্রতি আলুর দরপতনে কৃষকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখন তারা ভয় পাচ্ছেন, কাঁচা মরিচের ক্ষেত্রেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
উল্লেখ্য, আদমদীঘি উপজেলা দেশের মরিচ উৎপাদনের একটি প্রধান এলাকা। এখানকার উৎপাদিত কাঁচা মরিচ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে। গত মৌসুমে চাষিরা মরিচ বিক্রি করে লাভবান হলেও এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। আলুর মতো মরিচেও যদি দরপতন হয়, তাহলে তারা আরও বড় লোকসানে পড়বে—এমন আশঙ্কায় অনেকে মরিচ চাষের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন।
শালগ্রামের চাষি রতন ইসলাম জানান, গত বছর দেড় বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছিলেন, কিন্তু এবার আতঙ্কে এক বিঘায় সীমাবদ্ধ রেখেছেন। আমইল গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “দেশের প্রেক্ষাপট বদলেছে, মরিচের দামও কম হতে পারে। আল্লাহ যা করবেন, সেটাই ভালো।” আরেক চাষি আলতাফ আলী খাঁ জানান, প্রতি শতকে শতাধিক চারা রোপণের পাশাপাশি বাঁশের খুঁটি বসানো, ঘাস ও পোকা দমন এবং নিয়মিত সেচ দিয়ে পরিচর্যা চলছে।
চাষিরা বলছেন, আসন্ন আষাঢ় মাসে কাঁচা মরিচ বাজারে আসবে, কিন্তু তার আগে বাজারদরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে মরিচও আলুর পথেই হাঁটবে। তাই মরিচের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে আগাম পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তারা জোর দাবি জানিয়েছেন।
একুশে সংবাদ/ব.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :