গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার মোগরখাল এলাকায় একটি বাসায় রান্নার সময় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় নারী-শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক নারী, সীমা আক্তার (৩০), চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে।
দগ্ধদের মধ্যে সীমা আক্তার (৩০), তাসলিমা (৩০), পারভিন আক্তার (৩৫) ও তার শিশু ছেলে আয়ান (১ বছর), শেফালী বেগম (৪০) এবং তার মেয়ে তানজিলা বেগম (১০) রয়েছেন। তাদেরকে প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দগ্ধদের মধ্যে সীমা আক্তার ৯০ শতাংশ দগ্ধ হন এবং তিনি সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া পারভীন আক্তারের ৩২ শতাংশ, তানজিলার ৯০ শতাংশ, তাসলিমার ৯৫ শতাংশ এবং শিশু আয়ান এর ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সীমা আক্তারের স্বামী মো. আলহাজ জানান, তিনি এবং তার স্ত্রী গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যায় পাশের বাড়িতে রান্নার কাজ চলছিল। হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে এবং তার স্ত্রীসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদের ঢাকা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়, যেখানে তার স্ত্রী মারা যান।
এ ঘটনায় বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কায়সার আহমেদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, দগ্ধদের মধ্যে তাসলিমা ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন, তাছাড়া অন্যরা ৯০, ৩২ এবং ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। চিকিৎসকরা তাদের জীবন বাঁচানোর জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন।
একুশে সংবাদ// কা.বে//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :