AB Bank
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মাদারীপুরে অফিস সহকারীর নামে দুদকের চার্জশিট



মাদারীপুরে অফিস সহকারীর নামে দুদকের চার্জশিট

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী মিজান ফকিরের (৫৩) বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত সোমবার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক, মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান সিনিয়র বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতে চার্জশিট দাখিল করলেও বিষয়টি আজ জানাজানি হয়।

মো. মিজানুর রহমান ফকির মাদারীপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পাঠককান্দী এলাকার বাসিন্দা। তিনি মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক। এর আগে তিনি রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।

গত কয়েক বছর আগে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর দুদক তদন্ত শুরু করে। দীর্ঘ তদন্তের পর দুদক কর্মকর্তারা অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা পায়।

চার্জশিট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক মিজানুর রহমান ফকির ৫৩ লাখ ২০ হাজার ৭৪৭.৫২ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করছেন।

এ ছাড়া আসামি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৯৭০.০৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন রেখে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তিনি দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অসৎ উপায়ে আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন; যা প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, তদন্তের মাধ্যমে জানা গেছে, মিজানুর রহমান গাড়ি কেনাবেচার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। গাড়ি কিনে ব্যবসা করেছেন বলে তিনি নিজে তাঁর বক্তব্যে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। মিজানুর গাড়ি ব্যবসার থেকে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে গাড়ি ব্যবসা করতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র লাগবে। কিন্তু তিনি তা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম-নীতি ও চাকরিকালীন বিধিবিধান মানতে বাধ্য। তিনি সজ্ঞানে জেনেবুঝে তা লঙ্ঘন করেছেন।

আখতারুজ্জামান আরও বলেন, আসামি মিজানুর রহমান ফকির ০.১৪০০ একর সরকারি (ভিপি) সম্পত্তি বরাদ্দ নিয়ে ভোগদখলে আছেন। ভিপি বা অর্পিত সম্পত্তি আইন মোতাবেক যে শহরে লিজগ্রহীতার নিজস্ব বাড়ি বা জায়গা আছে এবং তাঁকে ওই শহরের অর্পিত সম্পত্তির কোনো বাড়ি বা জায়গা লিজ দেওয়া যাবে না, এই ধরনের আগে লিজগ্রহীতার লিজ বাতিল করা যাবে।

আসামি সজ্ঞানে তা লঙ্ঘন করে নিজে লাভবান হওয়ার জন্য ভিপি সম্পত্তি আইনবহির্ভূত লিজ বরাদ্দ নিয়ে বাউন্ডারি দরজা-ঘর নির্মাণ করে ভোগদখলে আছেন। তাই প্রাথমিকভাবে পারিপার্শ্বিক ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আসামি একজন আইন অমান্যকারী এবং একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে লাভের আশায় ব্যবসা এবং অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করে নানাভাবে দুর্নীতি করেছেন; যা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Shwapno
Link copied!