আধুনিক সভ্যতার এই যুগে যখন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারে ঝুঁকছেন ঠিক তখনই মানুষকে বই পড়ার দিকে আকৃষ্ট করে তুলতে টাংগাইলে ধনবাড়ী উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের নিভৃত এক পল্লীতে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে গড়ে তোলা হয়েছে মরিয়ম স্মৃতি মনি পাঠাগার’।
প্রতিদিন পাঠাগারে জ্ঞান অর্জন করতে আসছে নানা বয়সী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে পাঠাগারটি এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে।
উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের রাজার হাট বাজারের পাশে পাঠাগারটি অবস্থিত। ওই এলাকার আগামী প্রজন্মকে মাদক থেকে বাঁচাতে এবং জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে নিজ উদ্যোগে ২০১৮ সালে পাঠাগারটি তৈরি করেছেন মোঃ মাহাবুবুর রহমান মনি। বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে এবং মানবিক মানুষ গড়ার লক্ষে তিনি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
গ্রামের মানুষদেরকে অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখতেই তিনি পাঠাগারটি তৈরি করেন, পাঠাগারটিতে টেবিল, সেলফ ও আলমিরাতে থরে থরে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন ধরনের হাজারের অধিক বই রয়েছে। পাঠাগারটিতে শোভা পাচ্ছে ইতিহাস, প্রবদ্ধ, সাহিত্য, সংস্কৃতি, গল্প, মুক্তিযুদ্ধ, ছোট গল্প, ইসলাম, জীবনি, খেলাধুলা, শিশুতোষ, ঐতিহ্যসহ প্রায় হাজারেরও বেশি বই রয়েছে।
পাঠাগারটিতে প্রবেশ করলে এক নজরে যে কারো চোখ জুড়িয়ে যাবে। প্রতিদিন জ্ঞান অর্জনের জন্য সব বয়সীরা ছুটে আসছেন পাঠাগারে। যেখানে একসঙ্গে ১০-১২ জন বসে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।
পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মাহবুবুর রহমান মনি বলেন, আমি মনে করি জ্ঞান ভিত্তীক বা সমাজ ব্যবস্থায় একজন মানুষকে মানবিক হিসেবে মানুষ তৈরী করার ক্ষেত্রে পাঠাগারের বিকল্প নাই।
পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, জ্ঞান চর্চার অভাবে আমাদের সমাজে প্রগতিশীল চিন্তাধারা মানুষের বড়ই অভাব। আগামী সমাজ ব্যবস্থা হবে জ্ঞান নির্ভর। আর এ চিন্তাধারা থেকে আমার প্রত্যান্ত এলাকার ছেলে মেয়েদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে এমন উদ্যোগ নিয়েছি। তবে আমাদের পাঠাগারে নিজস্ব কোন জায়গায় নাই,যদি সরকারি ভাবে কোন জায়গা দিত তাহলে ওই জায়গার উপর ঘর নির্মাণ করে পাঠাগারটি আরো আধুনিক করে পাঠক সেবা দেয়া যেত।
পাঠাগারের নিয়মিত পাঠক গন বলেন, একটা ইউনিয়ন পর্যায়ে এতো সুন্দর পাঠাগার পাবো তা কল্পনার বাহিরে। অবসর সময়ে আমরা পাঠাগারে এসে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করছি। আমরা মরিয়ম স্মৃতি মনি পাঠাগারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :