আগামী বছর থেকে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে তাবলিগি কার্যক্রম ও বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করা যাবে না—এই শর্ত মানার সাপেক্ষে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাদ অনুসারী মুসল্লিরা ইজতেমা আয়োজন করতে পারবেন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব আবু সাঈদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার সকালে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরায়ে নেজামের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপের দ্বিতীয় দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ পর্বে ঢাকার একটি অংশসহ ২২টি জেলার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করছেন। বাদ ফজর আম বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা উবায়দুল্লাহ খুরশিদ, যা বাংলায় তর্জমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা জাকারিয়া।
দুপুরের আগে বয়ান মিম্বারের সামনে ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা। এ সময় মাদ্রাসা ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বয়ান দেন পাকিস্তানের মাওলানা ফরীদ সাহেব।
জোহরের নামাজের পর বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ঈসমাইল গোদরা, আর বাদ আসর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা জুহাইরুল হাসান। বিকেলে তিনি ময়দানে যৌতুকবিহীন বিয়ে পড়াবেন।
এ ছাড়াও বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শুরায়ী নেজামের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপের মোনাজাত নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুধবার দুপুর ১২টায় আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এবার আখেরি মোনাজাতের সময় যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। মোনাজাতের আগে ও পরে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে আব্দুল্লাপুর পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পে একটি লেনে যান চলাচল চালু থাকবে। এবারের আয়োজনেও আমরা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছি। ময়দানে বিদেশি মুসল্লিদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার আছে। বিদেশি মুসল্লিদের কথা চিন্তা করে ময়দানে সাধারণ ডায়েরি ও অভিযোগ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/স.ব/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :