AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ০৭ জুলাই, ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মোহনপুরে সাদ্দাম হত্যা মামলার সুষ্ট তদন্ত ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন


Ekushey Sangbad
আব্দুল বাতেন, রাজশাহী
০৪:২৮ পিএম, ৪ নভেম্বর, ২০২৪

মোহনপুরে সাদ্দাম হত্যা মামলার সুষ্ট তদন্ত ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

রাজশাহীর মোহনপুরে সাদ্দাম হত্যা মামলার সুষ্ট তদন্ত ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকান্ডের শিকার সাদ্দামের ভাই বুলবুল হোসেন জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ টার দিকে আমার ভাই সাদ্দাম আলীকে বাহির বাইরে ডেকে নিয়ে গিয়ে মোহনপুর উপজেলার বড় পালশা গ্রামের মৃত অয়েজ উদ্দীনের ছেলে একছার আলী, আনছার আলীর স্ত্রী হালিমা আক্তারুজ্জামানের ছেলে কামাল হোসেন, একছার আলীর স্ত্রী আঙ্গুরা, মৃত ইয়াছিন মোল্লার চেলে সাজ্জাদ মোল্লা ও মৃত আজিদের ছেলে আক্তারুজ্জামান মিলে  ধারালো লম্বা হাঁসুয়া দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য সাদ্দাম আলীর বুকের বাম পাশে কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখন করে।

আঘাতে সাদ্দাম আলীর কলিজা ছিদ্র হয়ে যায়। মামলার এক নম্বর আসামি আমার ভাই সাদ্দাম আলীর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য পুনরায় আবারও ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে আঘাত করলে বাম হাতে কজ্বি রক্তাক্ত হয়ে যায়। আমার ভাই সাদ্দাম আলীর চিৎকারের তাকে বাঁচতে গেলে মামলার ৫নং আসামি সাজ্জাদ হোসেন ও ৬ নং আসামি মো: আক্তারুজ্জামান আমার মারপিট শুরু করে। মামলার ৩নং আসামি মো: কামাল হোসেনে হুকুমে এক নম্বর আসামি একছার আলী মো: বুলবুল হোসেন (আমাকে) হত্যার উদ্দেশ্য তার হাতে থাকা ধারালো লম্বা হাঁসুয়া দিয়ে স্বাজোরে কোপ মারিলে কপালের ট্রফি পার্শ্বে, লাগিয়া মারাত্মক জখম হয়। তিনি পুনরায় হাঁসুয়া দ্বারা আঘাত করলে আমার কাধে ও গলায় মারাত্মক জখম হয়।

আসামিদের আঘাতে আমি এবং আমার ভাই সাদ্দাম আলী মাটিতে পড়িয়া থাকা অবস্থায় মামলার স্বাক্ষীসহ স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ভাই  সাদ্দাম আলীকে সন্ধা ৬ টার সময় মৃত বলে ঘোষণা করেন। আমার অবস্থা আশংকাজনক দেখিয়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করেন। গত ২৬/০৯/২৪ ইং তারিখ হতে ২৯/০৯/২৪ ইং পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলাম। আমার ভাই সাদ্দাম আলীর মৃত্যুর পর মোহনপুর থানার পুলিশ লাশ গ্রহণ করে পোস্ট মর্টেম এর ব্যবস্থা করিয়া গত ২৭/০৯/২৪ ইং তারিখে বাদ মাগরিব পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

আমার ভাই সাদ্দাম আলীর স্ত্রী মোছা: রেহেনা বিবি লাশ হস্তান্তর করার নাম করে মোহনপুর থানা পুলিশ স্বাক্ষর নিয়ে অসত্য মনগড়া তথ্য দিয়ে মামলা দায়ের করেন।  আমি চিকিৎসা শেষে আমার ভাই সাদ্দাম আলীর স্ত্রী রেহেনা বিবি ও আমার মা-সহ সাক্ষীগনের পরামর্শ ক্রমে প্রকৃত ঘটনা উল্লেখ করে যারা আমার ভাইয়ের হত্যার সাথে জড়িত আসামী একছার আলী  হালিমা (৫০), কামাল হোসেন (৩০), আঙ্গুরা (৩৫),  সাজ্জাদ মোল্লা (৫০) আক্তারুজ্জামান গণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণ করতে অনীহা  জানিয়ে থানা থেকে বের করে দেয়।

পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি  থানায় একছার আলী (৪০), দেলোয়ার হোসেন (৪৫) একরামুল হক বিজয় (৪৫), আল আলামিন বিশ্বাস, আয়েন উদ্দিন এর নামে মনগড়া তথ্য দিয়ে হত্যাকান্ডের মূল ঘটনা আড়াল করে ময়না তদন্তের নাম করে নিহত সাদ্দাম আলীর স্ত্রী মোছা: রেহেনা বিবির স্বাক্ষর নিয়ে মনগড়া তথ্য দিয়ে তড়িঘড়ি করে মামলা রেকর্ড করেছে মোহনপুর থানা পুলিশ।

মোহনপুর থানায় যাদেরকে জড়িয়ে যে মামলার পুলিশ রেকর্ড করেছেন তার মধ্যে এক নম্বর আসামি একছার আলী ছাড়া এই মামলার অন্যান্য আসামিরা আমার ভাই সাদ্দাম আলীর হত্যার সাথে জড়িত নেই।তিনি আরো জানান, প্রকৃত ঘটনা দিয়ে আমি রাজশাহীর বিজ্ঞ মোহনপুর আমলী আদালতে মামলা নং- ৫১২/ তারিখঃ ০২/১০/২০২৪ ইং, আসামীদের নাম ১। মোঃ একছার আলীসহ অন্যান্যদের আসামী করে মামলা দায়ের করেছি।

এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেন, আসামিরা আদালতের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি প্রদান করছে। বিষয়টি নিয়ে মোহনপুর থানা পুলিশের কাছে গেলে কোন আইনি সহযোগিতা করেছে না। মোহনপুর আমলী আদালতে দায়েরকৃত মামলাটির বিষয়ে আসামীদের বিরোদ্ধে কোন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর আলম কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। ফলে আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে। এসব বিষষ গুলো  উর্ধ্বর্তন পুলিশ কর্মকর্তাদের  হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী পরিবার।

এসব অভিযোগরে বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান, সেদিন নিহত সাদ্দামের স্ত্রী ও ভায়েরা স্থানীয় ও রাজশাহী শহরের বিএনপি নেতাদের সাথে নিয়ে ৪০-৫০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করতে এসেছিলেন। মামলায় এতো জনের নাম দেখে ওসি স্যার তাদের সাথে আলাপ করেই ৬জন আসামীর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার স্ত্রীর অভিযোগ সত্য নয় বলে তিনি দাবি করেন। এছাড়াও তিনি বলেন, একই ঘটনা উল্লেখ করে থানা ও  আদালতের দায়ের করা দুটি মামলারই তদন্ত চলমান আছে। আমি তিনদিন ওই এলাকা তদন্তর জন্য গিয়েছি বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত সাদ্দাম আলীর স্ত্রী রেহেনা বিবি, সন্তান ও ভায়েরা উপস্থিত ছিলেন।  

একুশে সংবাদ/ এস কে 

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!