কুষ্টিয়ার মিরপুরে দিনে দুপুরে জানালার শিক ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ একটি চোর চক্র। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকালে এ ব্যাপারে মিরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। চুরিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির নাম শফিকুল ইসলাম ওরফে পানবাবু (৫৫)।তিনি মিরপুর উপজেলার সোনালী ব্যাংকের সম্মুখে রাস্তার পশ্চিম পাশে সাইফ ষ্টোর নামে দোকান ঘর মালিক,জনপ্রিয় পান ব্যবসায়ী ও পৌর ১ নং ওয়ার্ড সুলতানপুর গ্রামের মাঠপাড়া এলাকার মৃত ওমর আলীর ছেলে।
ক্ষতিগ্রস্ত পান বাবু জানান-গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল অনুমান ৮টার সময় আমি প্রতিদিনের ন্যায় উক্ত দোকান ঘরে চলে আসি। আমার স্ত্রী মোছাঃ রত্না খাতুন (৩৫) অসুস্থ থাকায় পুত্র মোঃ সাইফ (১২) কে সঙ্গে নিয়ে মিরপুর থানাধীন সুলতানপুর মাঠপাড়াস্থ আমার বসতঘরের জানালা-দরজা বন্ধ করে দরজায় তালা লাগিয়ে বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। একই দিন বেলা অনুমান ১২.০৫ টার সময় আমার স্ত্রী, পুত্র উক্ত হাসপাতাল হইতে ডাক্তার দেখিয়ে নিজ বাড়িতে আসে এবং বসতঘরের দরজার তালা খুলে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে দেখে যে, ঘরের পশ্চিম পাশের জানালা ভাঙ্গা ও ঘরের জিনিসপত্র ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায়। তখন আমার স্ত্রী শোকেজ গ্লাস ভাঙ্গা দেখে ও ভ্যানিটি ব্যাগ শোকেজের সামনে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয়।তখন শোকেজের মধ্যে খোজা-খুজি করে দেখে যে, শোকেজের মধ্যে ভানিটি ব্যাগের মধ্যে রাখা আমার স্ত্রীর ব্যবহৃত একজোড়া স্বর্ণের রুলি বালা, একটি স্বর্ণের চেন, একটি স্বর্ণের আংটি, একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল, দুইটা স্বর্ণের ওপেল যাদের ওজন অনুমান দুই ভরি, মূল্য অনুমান আড়াই লক্ষ টাকা এবং শোকেজের উপরে থাকা আমার ছেলের প্লাষ্টিকের ব্যাংকের মধ্যে রাখা নগদ তিন হাজার টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। আমি সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে ঘটনা দেখি ও শুনি।আমাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ঘটনার বিষয় জানে ও শোনে।
অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল অনুমান সাড়ে নয়টা হতে দুপুর ১২.০৫ টার মধ্যবর্তী যেকোনো সময় আমার বাস ঘরের পশ্চিম পাশের জানালার রড বেকা করে ফাক করে ফেলে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করতঃ শোকেজ এর গ্লাস ভেঙ্গে শোকেজের মধ্যে থেকে উল্লেখিত স্বর্ণালংকার এবং শোকেজ এর উপরে থাকা প্লাষ্টিকের ব্যাংক সহ চুরি করে নিয়ে যায়।আমার চোরাই যাওয়া নগদ টাকা সহ স্বর্ণলংকার এবং আসামীদের খোজা খুজি করে অনুসন্ধান করতে না পেরে মিরপুর থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল আজিজ জানান-উল্লেখিত চুরির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে এস আই এমদাদকে পাঠিয়েছিলাম।তদন্ত চলছে।তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একুশে সংবাদ/এনএস



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

