কোটচাঁদপুরের জগন্নাথপুর শিশু সুরক্ষা কমিউনিটি হাবের সাইনবোর্ড বহন করতে দেখা গেল হাবেরই শিশুদের। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দৃশ্য দেখা যায় উপজেলা প্রধান ফটকের সামনের সড়কে। বাচ্চাদের হাতে আমরা সাইনবোর্ড তুলে দেইনি বলে দাযিত্ব এড়ালেন ওই প্রকল্পের কো-ডিনেটর ইলিয়াস আহম্মেদ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,গেল জুলাই ২০২৪ সাল থেকে ঝিনাইদহের ৩ উপজেলায় একসিলারেটিং প্রটেকশন ফর চিলড্রেন (এপিসি) প্রকল্প চালু হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে কোটচাঁদপুর উপজেলা।
এ উপজেলায় ওই প্রকল্পের আওতায় ৪ টি হাব পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিটি হাবে রয়েছে ২ জন পিআর লিডার ও ২ জন পিএফ। এখান থেকে পিআর লিডাররা সম্মানি পান ১ হাজার টাকা। বিনিময়ে শ্রম দিতে হয় সপ্তাহে ২ দিন। আর পিএফদের শ্রম দিতে হয় সপ্তাহে ৫ দিন। বিনিময়ে তারা পান ১ হাজার ৫ শ টাকা বলে জানালেন হাবের প্রশিক্ষক ৯ ম শ্রেনীর ছাত্র পিয়াস হোসেন ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী লাবনী খাতুন।
তারা বলেন, এখানে বাচ্চাদেরকে সচেতন করা হয়। বাচ্চারা এখানে এসে খেলা ধুলা করেন। অনেক লেখালেখিও করে থাকেন।
বৃহস্পতিবার ওই হাবের বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন উপকরন ও ফেস্টুন ব্যানার দেয়া হয় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কোটচাঁদপুরের কার্যালয় থেকে। ওই সাইনবোর্ডে লেখা ছিল জগন্নাথপুর শিশু সুরক্ষা কমিউনিটি হাব। সেই সাইনবোর্ডগুলোই বহন করে নিয়ে যেতে দেখা যায় জগন্নাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী শিহাব হোসেন ও বলাবাড়িয়া একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী লামিয়া খাতুনকে।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের একসিলারেটিং প্রটেকশন ফর চিলড্রেন (এপিসি) প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ইলিয়াস আহম্মেদ বলেন,ওই সাইনবোর্ড ও সামগ্রী আমাদের কর্মীরা নিয়ে যাবেন। আমরা তো ওনাদের হাতে দেয়নি।
তিনি বলেন,আমাদের প্রতিটি হাবে ৪ জন করে কর্মী রয়েছে। অফিস থেকে তাদের হাতে এ সাইনবোর্ড তুলে দেয়া হয়। বাইরে নিয়ে গিয়ে তারা কার হাতে দিয়েছেন, সেটা আমাদের দেখার বিষয় না।
একই সুরে কথা বলে দায়িত্ব এড়ালেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম। তিনি বলেন,ওই বাচ্চাদের হাতে সাইনবোর্ড দেয়া হয়নি। সাইনবোর্ড দেখে বাচ্চাটি কান্না করছিল। পরে ও তাদের কাছ থেকে সাইনবোর্ড হাতে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, শিশু শ্রম তো বাইরে সব জায়গায় হচ্ছে। সে তুলনায় তো এটা কিছুই না। ওই ঘটনাটি নিয়ে এমন মন্তব্যও করেন ওই কর্মকর্তা।
এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে রয়েছেন,একসিলারেটিং প্রটেকশন ফর চিলড্রেন (এপিসি) প্রকল্প মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আর সহযোগিতা করছেন,ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউনিসেফ বাংলাদেশ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন,ঘটনাটি মহিলা বিষয়কের হলে,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। তবে এ প্রসঙ্গে তিনি আর কোন মন্তব্য করেননি।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :