AB Bank
ঢাকা সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পেকুয়ায় জব্দকৃত  বালু প্রকৃতির সাথে মিশিয়ে দিলো বনবিভাগ


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮:২১ পিএম, ৯ মে, ২০২৪
পেকুয়ায় জব্দকৃত  বালু প্রকৃতির সাথে মিশিয়ে দিলো বনবিভাগ

কক্সবাজারের পেকুয়ায় চট্রগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের আওতাধীন টৈটং বিটের মধুখালীর  রিজার্ভ হারবাং মৌজার আরাতুল্লা ও নকশা ফুল্লার গহীন অরন্যে বালিখেকো কর্তৃক উত্তোলিত প্রায় ৪ লক্ষ ৬ হাজার ঘনফুট বালির নিলাম নিয়ে বেশ কয়েকমাস ধরে উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ অবশেষে জব্দকৃত বালি আদালতের নিদের্শে প্রকৃতির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার অভিযান শুরু করেছে ।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টার দিকে অভিযান শুরু হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্রগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক দেলোওয়ার হোসেন। 

বনবিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়,সংরক্ষিত বনে ৫/৪ বছর আগে মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করেছিল বালি খেকোরা। ২০২৩ সালের ২৫ মে ওই বালি জব্দ করে ইউ.ডি. আর মামলা দায়ের করেন টৈইটং বনবিট কর্মকর্তা। চলতি বছরে বালি দস্যুরা এ বালি নিলামের নামে বের করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে  বিভিন্নভাবে তদবির করে বালু খেকোরা। নিলাম দেওয়া ও নিলাম বন্ধ করা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের মধ্যে শুরু হয় রশি টানাটানি। সেই সাথে কাঁদা ছোটাছুটি। বনবিভাগ ও মিডিয়ার তৎপরতায় বন্ধ হয়ে যায় নিলাম কার্যক্রম। চলতি বছরের ৩১ মার্চ ওই বালি প্রকৃতির সাথে মিশে দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক। আদালত তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ এপ্রিলের মধ্যে বালি পরিমাপ ও অবস্থান নিশিত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করেন। ধার্য তারিখে ইউএনও প্রতিবেদন না দেওয়া ও কোন সময় প্রার্থনা না করায় রেঞ্জ কর্মকর্তার আবেদনের ধারাবাহিতায়, ধার্য তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্য বালি নিচু স্থানে ভরাট করে গাছ রোপন করে আদালতে ভিডিও চিত্র সহ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন বারবাকিয়া রেঞ্জ হাবিবুল হককে।

বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক বলেন, আদালতের আদেশ ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে এ বালু গুলো মিশিয়ে দেওয়ার প্রথম ধাপের কাজ শুরু করছি। বালুদস্যূ যে হোক না কেন এবং বালু পাহাড় সংরক্ষিত বনে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের যেকোনো ধরনের পায়তারা বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্তৃক কঠোর হাতে দমন করা হবে। 

এ বিষয়ে চট্রগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বালিগুলো আমরা জব্দ করেছিলাম সেই জব্দকৃত বালি ভিডিও ধারণ করে আদালতে দাখিল করি। আদালত কর্তৃক বালি গুলো নিচু জায়গায় ভরাট করে সেখানে বিভিন্ন বনজ্ বৃক্ষ রোপণ করার মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে একটি  প্রতিবেদন দাখিল করবো। আদালতের সেই আদেশকে শিরোধার্য করে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা নিদের্শ বাস্তবায়ন করছি। আমরা চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভিন্ন রেঞ্জের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এখানে উপস্থিত হয়েছি।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!