AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গঙ্গাচড়ায় বৈশাখের খরতাপে পুড়ছে কৃষকের স্বপ্ন


গঙ্গাচড়ায় বৈশাখের খরতাপে পুড়ছে কৃষকের স্বপ্ন

সারাদেশে তীব্র রোদ আর প্রচণ্ড গরম।প্রতিবারের মতো এবারও রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় বাদাম, ভুট্টা, পাট, মরিচ‍‍`সহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি আবাদ করা হয়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি খরার কবলে পড়ে এসব ফসলের ক্ষেতগুলো পুড়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ দিন বৃষ্টি না হওয়ায় বাড়তি সেচে উৎপাদন খরচ বাড়লেও সুফল মিলছে না। আশানুরূপ ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। 

আবহাওয়া অফিস বলছে, রংপুরে গত ১৯ দিন ধরে কখনো ৩৭ ডিগ্রি, আবার কখনো ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অতিক্রম করছে। এ কারণে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (০২ মে) সরেজমিন উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের গাউছিয়া বাজার, রাজবল্লভ, ছালাপাক, চেংমারী, চেংমারী মান্দ্রাইন, মৌলভীবাজার, মন্থনা, মর্নেয়া‍‍`সহ তিস্তার চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে বৃষ্টি না হওয়ায় ফসলি জমি ফেটে চৌচির হওযায় কৃষকরা সেচ দিতে ব্যস্ত। অনেকে ৫ থেকে ৭ বার করে সেচ দিয়েছে। এতে তাদের উৎপাদন খরচ বাড়বে।  

স্থানীয় কৃষক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ম্যালা (অনেক) দিন থাকি বৃষ্টি নাই, স্যালো মেশিন নাগে পানি দিতে দিতে হাপশিঁ গেছুং। তাও কোনো কাম হয়চোল না। 

উপজেলার চর ইচলি এলাকার কৃষক মোন্নাফ মিয়া দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ৩৫ হাজার টাকা খরচ করি এবার চরের ৩০ শতক জমিতে বাদাম আবাদ করছি। কয়দিন ধরি যে রইদ (রোদ) তাতে মোর ৩০ শতক মাটির সোগগুলা (সবগুলো) বাদামের গাছ রইদোত (রোদ) পুড়ি গেইছে। ম্যালাবার (অনেকবার) পানি দিছি, কোনো কাম (কাজ) হয় নাই। এই জন্যে বাদামের আশা বাদ দিয়া দিছুং।

লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের মহিপুর শেখ হাসিনা তিস্তা সেতু এলাকায় স্থানীয় কৃষক কয়েকজন শ্রমিককে সঙ্গে নিয়ে বাদামখেতে পানির ব্যাবস্থা করছেন। এ সময় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১ লাখ টাকা খরচ করি বাদাম লাগাইছি, এই রোদের কারণে বাদামের গাছ মরি যায়চোল।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম বলেন, শীতকালীন ভুট্টা এখন কর্তন করার সময়। বাদাম এ তেমন ক্ষতি হওয়ার কথা না। তবে তাপের কারণে হতেও পারে। খেতে পানি দেওয়ার সাথে সাথেই শুকায় যাচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের পরামর্শ অব্যাহত রেখেছি।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!