AB Bank
ঢাকা বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে রেস্তোরাঁয় হামলার অভিযোগ


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,বান্দরবান
০৯:৩৩ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে রেস্তোরাঁয় হামলার অভিযোগ

এএসপি মংনেথোয়াই মারমা, আহত পাইনুচিং ও খিংসাই মং

বান্দরবান শহরের একটি রেস্তোরাঁয় রাতে ভাতের সাথে মদ চেয়ে না পেয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মংনেথোয়াই মারমা ও তার স্ত্রী হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে রেস্তোরাঁর মালিক, তার স্ত্রী ও শিশুসন্তানসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে শহরের মধ্যমপাড়া এলাকার তোহজাহ রেস্তোরাঁয় এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।

জানা যায়, কুমিল্লার এএসপি মংনেথোয়াই মারমা ও তার স্ত্রীর বাড়ি বান্দরবান শহরে। নববর্ষের ছুটিতে কুমিল্লা থেকে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসে এই ঘটনা ঘটায় তারা।

রেস্তোরাঁর মালিক শোয়েসাই মং জানান, মঙ্গলবার ছিল মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসবের শেষদিন। উৎসবের কারণে রেস্তোরাঁর কর্মচারীরা ছুটিতে ছিলেন। তাই শৈসাইমং, তার স্ত্রী উম্যাশৈ ও তাদের বৃদ্ধা মা পাইনুচিংকে নি‌য়ে রেস্তোরাঁয় আসা অতিথিদের খাবার পরিবেশন করছিলেন। টেবিলে বসে আট অতিথি ভাত খাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। রাত ৯টার দিকে কুমিল্লার এএসপি মংনেথোয়াই মারমা, তার স্ত্রী ও কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে রেস্তোরাঁয় ঢুকে ভাতের সঙ্গে মদ দিতে বলেন। রেস্তোরাঁর মালিক তাদের জানান মদ নেই। আশপাশের কোথাও খোঁজ নিতে বলেন। এতে রেগে যান এএসপি ও তার স্ত্রী। এ সময় এএসপির স্ত্রী বলেন, ‘আমি এএসপির বউ, মদ এখনই দিতে হবে। না দিলে বান্দরবানের পুলিশ সুপারকে বলে আজীবনের জন্য দোকান বন্ধ করে দেবো’—এই কথা বলেই হইচই শুরু করেন। একপর্যায়ে মালিক ও তার স্ত্রীকে মারধর শুরু করেন এএসপি, তার স্ত্রী, সাব-ইন্সপেক্টর নিং ওয়াই ও তাদের সঙ্গে থাকা আরও একজন। এতে উম্যাশৈর কোলে থাকা শিশুটি মাটিতে পড়ে আহত হয়। এ অবস্থায় তাদের ছেড়ে দিতে এএসপির স্ত্রীর কাছে গিয়ে ক্ষমা চান বৃদ্ধা মা পাইনুচিং। তবু শান্ত হচ্ছিলেন না। খবর পেয়ে মালিকের মেজো ভাই খিংসাই মং এসে মারধর থামাতে গেলে তাকেও ঘুষি মেরে আহত করা হয়। দ্বিতীয় দফায় তাদের আবারও মারধর করেন তারা। সবশেষে দোকানের অতিথি ও স্থানীয়দের অনুরোধে রেস্তোরাঁ থেকে বের হয়ে যান।

এ ঘটনায় আহত শোয়েসাই মং (৩২), তার স্ত্রী উম্যাশৈ (২৫), তাদের দুই বছরের সন্তান উখ্যাই, ভাই খিংসাই মং (৩৬) ও মা পাইনুচিংকে (৬৫) উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মো. দিদার বলেন, ‘আহত একজনের শরীরে দাঁতের কামড়ের চিহ্ন রয়েছে। বাকিদের হাত-মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। আমরা তাদের চিকিৎসা দিয়েছি।’

এদিকে ভয়ে এখনও থানায় মামলা করেননি ভুক্তভোগী রেস্তোরাঁর মালিক শোয়েসাই মং। তিনি বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ আছি। কিন্তু ভয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিতে যেতে পারছি না।’

এমনটি জানিয়ে বান্দরবা‌নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী ব‌লেন, ‘গতকালের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি আজ পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে দুই পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করা হয়েছে। বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হওয়ায় মেনে নিয়েছে দুই পক্ষ।’

তবে তার এই দাবি অস্বীকার করে জসাই মারমা বলেন, ‘জেলা পরিষদে আধা ঘণ্টা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে তারা সমাধানের জন্য চাপ দিয়েছে আমাদের। কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি। আপসের কথা বলেছিল তারা। আমরা বিচার চেয়েছি। এ অবস্থায় সেখান থেকে চলে এসেছি। তবে বিচার না পেলে আদাল‌তে মামলা করবো আমরা।’

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মংনেথোয়াই মারমার ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল মোবাইল নম্বরে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ ক‌রেন‌নি।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি দেখছি আমরা।’

একুশে সংবাদ/বা.ট্রি/ এসএডি

 

Link copied!