AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ভূরুঙ্গামারীতে সেহরি ইফতার তারাবিতে মিলছে না বিদ্যুৎ, লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৪:৩৭ পিএম, ৫ এপ্রিল, ২০২৪
ভূরুঙ্গামারীতে সেহরি ইফতার তারাবিতে মিলছে না বিদ্যুৎ, লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে পবিত্র মাহে রমজানের ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময় বিদ্যুৎ মিলছে না। ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। শহরের একটু কম হলেও গ্রাম এলাকায়  ১৬ থেকে ১৮ ঘন্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। অপর দিকে ইরি-বোরো চাষের শেষ সময়ে এসে জমিতে পানি (সেচ) দেওয়া নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক।

বিদ‍্যুৎ বিভাগ বলছে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম ও জাতীয় গ্রীডে ভোল্টেজ কম থাকায় বিদ‍্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটছে। এর ফলে প্রত‍্যন্ত গ্রাম এলাকার বাসিন্দাসহ ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। আসন্ন ঈদ মার্কেটে সকল দোকানে দুর্ভোগে পড়ছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন তাঁরা।  

স্থানীয়রা বলছেন, রমযানে তাপদাহে এমনিতেই  জীবন ওষ্ঠাগত। তার ওপর দিন নাই রাত নাই লোডশেডিং। বিদ্যুত এই আছে এই নাই।গতরোববার থেকে এভাবে দিন-রাতের বেশিরভাগ সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং চলছে। তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না পাওয়ায় রোজাদারদের দুর্ভোগ বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছে, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিদ্যুত আসা যাওয়া করছে বহুবার। গরমের কারণে দোকানে বসা যাচ্ছে না। গরমে ক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে দিনে। তেল কিনে জেনারেটর চালিয়ে ব্যবসা চালানো দুস্কর হয়ে পড়েছে।

ভূরুঙ্গামারী বাজারের পোশাক ব্যবসায়ী অপু, শাহআলম ও শহিদুল বলেন, কোনো রুটিন ছাড়াই দিনে অনেকবার লোডশেডিং হচ্ছে। এক-দেড় ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ আসলে আবার সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট পর চলে যায়। আসন্ন ঈদ মার্কেটে ব‍্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।

অন‍্যদিকে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের শেষ সময়ে এসে জমিতে নিয়মিত সেচ দিতে না পারায় স্বপ্নের সোনালী ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। উপজেলার পশ্চিমছাট গোপালপুর গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম, সুরুজ মিয়া ও মনোয়ারসহ একাধিক কৃষক জানান, ইরি-বোরো ধানে আর মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিন সেচ দিতে হবে। কিন্তু বিদ‍্যুতের লোডশেডিং এর কারণে জমিতে নিয়মিত পানি দিতে না পারলে প্রচণ্ড খরায় ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে যাবে। স্বপ্নের ফসল মাঠেই নষ্ট হয়ে যাবে।

পল্লী বিদ‍্যুতের ভূরুঙ্গামারী জোনাল অফিস সুত্রে জানাগেছে, উপজেলায় দৈনিক  বিদ‍্যুতের চাহিদা ২১ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৯ থেকে সাড়ে ৯ মেগাওয়াট। ফলে লোডশেডিং হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ‍্যুৎ সমিতির ভূরুঙ্গামারী জোনাল অফিসের ডিজিএম মিজানুর রহমান জানান, জাতীয় গ্রিডে সমস‍্যার কারণে মাঝে মাঝে বিদ‍্যুতের লো ভোল্টেজ হচ্ছে। একারণে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ‍্যুৎ সর্বরাহ করা যাচ্ছে না। আর চাহিদার তুলনায় কম বিদ‍্যুৎ পাওয়ার ফলে ঘাটতি পূরণে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

একুশে সংবাদ/এস কে
 

Link copied!